একটি দল যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী রিকশা-ভ্যান-অটোচালক দল।
Advertisement
এসময় রিজভী বলেন, যারা একাত্তরের পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ ছিলেন জিয়াউর রহমানের উদারতার কারণে তারা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এই রাজনৈতিক দলটি যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি।
রিজভী বলেন, জনতার মধ্য থেকে জুলাই আন্দোলনে যে শ্রমিকরা নেমেছেন যারা একদিন রিকশা চালাতে না পারলে তাদের পরিবারের ভাত হবে না। তাদের আত্মদানকে এত ছোট করে দেখছেন কেন? সেটার জন্যতো কর্তব্য ছিল বেশি। যে রিকশাচালক, ভ্যানচালক মারা গেছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা করে কবে পুনর্বাসন করা যায় সে ব্যাপারে আপনাদের কাউকেতো আসতে দেখলাম না। ক্ষমতার ভাগাভাগি, রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে আক্রান্ত করা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি।
মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্রশিবির বলে ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছি। কে কখন নিষিদ্ধ হয় আমরা জানি না। ছাত্রশিবিরকেও আমরা নিষিদ্ধ হতে দেখেছি একসময়। আমরা এটাও জানি, ছাত্রশিবিরের এখনকার অনেক নেতা ছাত্রলীগের মধ্যে অবস্থান করে অনেক পদ-পদবিও পেয়েছেন। অনেকেই ছাত্রশিবিরকে বলে গুপ্ত ছাত্রলীগ। এর উত্তর তারা কি করে দেবেন? এগুলোরতো অনেক প্রমাণ অনেক তালিকা অনেক নাম আমাদের কাছে আছে। অবান্তর কথা কেন আপনারা বলছেন? কীসের জন্য এসব কথা বলে আজ গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে এই বিভাজন তৈরি করছেন? আপনারা এই কারণে করছেন যে নিজেরা কিছু করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা করা যায় কি না। কিন্তু এটা হবে না।
Advertisement
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারপ্রধান বললেন ছাত্ররা দল করতেই পারে। হ্যাঁ, আমরা যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি তাহলে করতে পারে। কিন্তু যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলা হচ্ছে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে ইসলামী সংস্কৃতি, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এটাকে মুছে দেওয়া যাবে না, যেটার চেষ্টা শেখ হাসিনা বার বার করেছেন। ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামের প্রতি বিশ্বাস আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এটাতো জিয়াউর রহমান নিয়ে এসেছিলেন সংবিধানে। শেখ হাসিনা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন এটা মুছে ফেলার। আবার এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের জাতীয় সংস্কৃতির নানা অঙ্গ আছে নানা বৈচিত্র্য আছে এটাকেও মুছে ফেলা যাবে না। কেন চট্টগ্রামে বসন্তবরণ বন্ধ করা হয়েছে কার নির্দেশে হয়েছে? নাটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামে। আমাদের পার্টি হচ্ছে প্রত্যেক ধর্মের সবাই তার মত প্রকাশ করবেন, প্রত্যেক ধর্ম সম্প্রদায় তার ধর্মের মত চর্চা করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ।
কেএইচ/এমআইএইচএস/এমএস
Advertisement