বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ে গেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ভর্তুকি কমিয়ে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
Advertisement
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাজস্ব আয়ের তুলনায় স্থানীয় ঋণ বড় হচ্ছে। রপ্তানি ও বিনিয়োগ থমকে আছে। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে বৈদেশিক আয়ের চেয়ে ঋণ বাড়ছে। বড় বড় প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হচ্ছে। ফলে ভর্তুকি থেকে এখন উৎপাদন সক্ষমতার দিকে যেতে হবে আমাদের।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের অষ্টম বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন অর্থনীতিবিদরা।
তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে শেষদিনে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন দেশের অর্থনীতিবিদ, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এদিন দেশর অর্থনীতির ভারসাম্য ও সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে এক প্যানেল আলোচনা হয়। সামেনের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এটি সঞ্চালনা করেন।
Advertisement
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এরই মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়ে গেছি। মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। বৈদেশিক আয়ের চেয়ে ঋণ বাড়ছে। একইভাবে রাজস্ব আয়ের তুলনায় স্থানীয় ঋণ বড় হচ্ছে।
আরও পড়ুনগ্যাসের দাম দ্বিগুণ করলে বিনিয়োগ কমবে, চাপ বাড়বে আর্থিক খাতে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটরের মর্যাদাবিগত সময়ে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হলেও তার সঙ্গে কর্মসংস্থান বাড়েনি জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে বরং কর্মসংস্থান কমেছে।
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বড় বড় প্রকল্পের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হচ্ছে। এখন আসল পুরো শোধের সময় এসেছে। ২০২৬ সাল থেকেই রূপপুর প্রকল্পে আসল পরিশোধ করতে হবে। এটা প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের আগে বৈদেশিক খাতগুলো উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ছিল। এখন পরোক্ষ করের ওপর নির্ভর না করে প্রত্যক্ষ করে মনোযোগ দিতে হবে।
Advertisement
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেকে বলছেন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পিছিয়ে দিতে। এটা বাস্তবসম্মত হতে পারে না। নেপাল ও ভুটান গ্র্যাজুয়েশন করেছে। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বসে থাকতে পারি না। ভর্তুকি থেকে এখন উৎপাদন সক্ষমতার দিকে যেতে হবে আমাদের।
বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, কৃষিতে যেন স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি কৃষকের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেটাই বড় বিষয় এখন। আমাদের নতুন জাত উদ্ভাবনে নজর দিতে হবে।
এসএম/কেএসআর