এক ইনিংস শেষ হওয়ার পরই বোঝা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানেই হারবে আফগানিস্তান। অবশেষে তাই হয়েছে। বড় আশা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আসা আফগানদের ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত শুরু করেছে প্রোটিয়ারা।
Advertisement
শুক্রবার করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের হাই স্কোরিং পিচে ৬ উইকেটে ৩১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে আফগানিস্তান অলআউট হয় ৪৩.৩ ওভারে মাত্র ২০৮ রানে।
আফগানিস্তানের হয়ে একাই লড়াই করেছেন রহমত শাহ। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৯২ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। বাকিদের কেউ ২০ রানের কোটায়ও যেতে পারেনি।
১৮ রান করে নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ। ইব্রাহিম জাদরান ১৭ রান ও সিকিকুল্লাহ আতাল ১৬ রান করেন।
Advertisement
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই খুব নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ২৮ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান দুই ওপেনার রিকেলটন ও টনি ডি জর্জি। ২৮ রানের মাথায় আউট হয়ে যান টনি ডি জর্জি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রায়ান রিকেলটন ও টেম্বা বাভুমা মিলে গড়ে তোলেন ১২৯ রানের অনবদ্য জুটি।
অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ২৯তম ওভারের ৪র্থ বলে এলবিডব্লিউ আউট করেছিলেন মোহাম্মদ নবি। আম্পায়ার আউটের আঙ্গুল তুললেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বাভুমা। কিন্তু পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বাউন্ডারি লাইনের আগে সেদিকুল্লাহ অটলের হাতে। ৭৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হন বাভুমা।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করতে ১০১ বল খেলেন প্রায় ২৯ বছর ছুঁই ছুঁই রায়ান রিকেল্টন। যদিও ১০৩ রান করেই রানআউট হয়ে যান তিনি। এরপর রাশি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মারক্রামরা ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ৪৬ বলে ৫২ রান করে আউট হন ফন ডার ডুসেন। ৩৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থেকে যান এইডেন মারক্রাম।
ইনিংসের শেষ দুই বলে ফজলহক ফারুকিকে বাউন্ডারি এবং ছক্কা মেরে ১০ রান নিয়ে দলীয় স্কোর ৬ উইকেটে ৩১৫ রানে নিয়ে যান উইয়ান মুল্ডার। ৬ বল খেলে তিনি অবশ্য ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। মাঝে ডেভিড মিলার ১৪ রান করে আউট হন।
Advertisement
আফগান বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি। ১টি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও নুর আহমদ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা ৩৬ রানে ৩ উইকেট, লুঙ্গি এনগিদি ও উইয়ান মুলদার ২্টি করে উইকেট নেন।
এমএইচ/