দেশজুড়ে

ইলিশের জালে ১৮ কেজির টুনা, দেখতে ভিড় পর্যটকদের

পটুয়াখালীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মহিপুর ঘাটে মিললো ১৮ কেজির টুনা মাছ (লং ফিন টুনা)। আব্দুস সাত্তার নামের এক মাঝি মাছটিকে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। ফয়সাল ফিস আড়ত থেকে উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে ৮০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেয় ফিশভ্যালি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কুয়াকাটা এলাকায় এই প্রথম এত বড় টুনা মাছের দেখা মেলায় ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর কুয়াকাটা মেয়র মার্কেট ফিশভ্যালি নামের একটি দোকানে বিক্রির জন্য ওঠালে অনেকেই ভিড় জমান মাছটি দেখতে। ফিশভ্যালি কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশিরভাগ সময় তারা বড় মাছই কিনে থাকে। তবে এর আগে ৫-৭ কেজি ওজনের টুনা বিভিন্ন সময়ে কেনাবেচা করলেও এত বড় টুনা কখনো এই এলাকায় দেখেননি তারা। আজ ৮০০ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৮০০ টাকায় তারা মাছটি কিনেছেন।

ফিশভ্যালির পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, বড় মাছ দেখে পছন্দ হয়েছে, তাই কিনেছি। তবে এখানে বিক্রি করতে পারি কি না জানি না। আমাদের অনলাইনে এটা দেওয়া আছে। আশা করি ভালো লাভে কাস্টমার পাবো।

মনির ফিশ ফ্রাই মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন বলেন, কুয়াকাটা ফিশ ফ্রাই মার্কেটে মাসে আমরা এই টুনা মাছ শতশত পিস বিক্রি করি। তবে এত বড় টুনা মাছ আমরা এই ১০-১৫ বছরে এলাকায় উঠতে দেখিনি। কখনো জেলেরাও পায়নি। আজ মাছের খবর শুনে এখন দেখতে এলাম। মাছটি অনেক সুস্বাদু হবে। এর আগে এই মাছটি আমরা ডিসকভারি চ্যানেলে দেখতাম।

Advertisement

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি বিশ্ববাজারে অনেক দামি মাছ। যা অ্যালবাকোর বা লং ফিন টুনা নামেও পরিচিত। এটি স্কোমব্রিফর্মেস বর্গের টুনার একটি প্রজাতি। মাছটি সারাবিশ্বে এপিপেলাজিক এবং মেসোপেলাজিক অঞ্চলে পাওয়া যায়। আটলান্টিক, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের পাশাপাশি ভূমধ্যসাগরে বিশ্বব্যাপী পরিচিত মাছগুলো এই এলাকায় পাওয়া যায় না।

এজেডএম/এএমএ