খেলাধুলা

তিন ফাইনাল হারের যন্ত্রণা ভুলতে এখনও ‘ওষুধ সেবন’ করেন ডি মারিয়া

আর্জেন্টিনার পরপর তিনটি ফাইনাল হারের যন্ত্রণা, হতাশা ও চাপ সামলাতে এখনও ওষুধ সেবন করছেন বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি অ্যানহেল ডি মারিয়া।

Advertisement

ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা জিতলেও এর আগে তিন বছরের মধ্যে দুটি কোপা আমেরিকা ফাইনাল (২০১৫ ও ২০১৬ সালে) ও ২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল হেরেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার অনলাইন পত্রিকা ‘ইনফোবায়ে’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ডি মারিয়া। সেখানেই কষ্টের তীব্রতা বর্ণনা করেছেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ফুটবল-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইএসপিএন’।

ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি ডোজ কমাতে পেরেছি। এখন অনেক ভালো বোধ করছি, তবে এটি কিছুটা আসক্তির মতো হয়ে গেছে... এসব ঘটনা মনে গেঁথে থাকে, জীবনে দাগ কেটে যায়।’

Advertisement

আর্জেন্টিনা দীর্ঘদিনের শিরোপাখরা কাটায় ২০২১ সালে। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকা জেতে আলবিসেলেস্তারা। ম্যাচের একমাত্র গোল করেন ডি মারিয়া। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনি, যা তাকে জাতীয় দলের অন্যতম নায়ক করে তুলেছিল।

ডি মারিয়া দুঃখ প্রকাশ করেছেন তার অনেক সাবেক সতীর্থের জন্য, যারা কখনও ট্রফি জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি।

কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড বলেন, ‘কে মনে রাখে সেই খেলোয়াড়দের, যারা বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছেছিল কিন্তু জিততে পারেনি? অনেক কম মানুষ। এটা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়। তাদের কথা কে বলছে? কেউ না। খুব কম মানুষ বলতে পারবে তারা কীভাবে খেলেছিল। আমি অনেকবার বলেছি, যখন আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, যখন কোপা আমেরিকা জিতেছিলাম, আমি সবসময় বলেছি এই ট্রফিগুলো আগের প্রজন্মের জন্যও প্রাপ্য।’

৩৭ বছর বয়সেও প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে খেলা চালিয়ে গেলেও গত গ্রীষ্মে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন ডি মারিয়া। তবে নিজের সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত নন তিনি।

Advertisement

আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৫ ম্যাচে ৩১ গোল করা ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি জাতীয় দলের সঙ্গে ১৬ বছর কাটিয়েছি, যেন এটা আমার কোনো ক্লাব। এটা কঠিন, তবে আমি মনে করি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলার লোভ হয়। আমি যা চেয়েছিলাম সব অর্জন করেছি। আমি সেভাবেই বিদায় নিয়েছি, যেভাবে নিতে চেয়েছিলাম... আশা করি, একদিন আবার ফিরতে পারবো, ভিন্ন কোনো ভূমিকায়।’

এমএইচ/জেআইএম