চলে গেলেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী চিত্তাজাল্লু কৃষ্ণভেণী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্রবীণ অভিনেত্রী।
Advertisement
কৃষ্ণভেণী তার বহুমুখী অভিনয় এবং তেলেগু সিনেমার প্রতি ভালোবাসার জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি এ শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বেশ কয়েকটি বিখ্যাত সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। সেসব সিনেমা এখনো চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয়।
চিত্তাজাল্লু কৃষ্ণবেণী ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে ১৯৩৬ সালে যাত্রা শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন প্রধান অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কৃষ্ণবেণী একজন জমিদারকে বিয়ে করেন। যিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ‘শোভনচলা’ নামের একটি স্টুডিওর প্রধানও ছিলেন।
কৃষ্ণবেণী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টুডিও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং চলচ্চিত্র প্রযোজনায় প্রবেশ করেন। তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার আট দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত ছিল। এই সময়ে তিনি ‘সতী অনসূয়া’, ‘দক্ষিণ যজ্ঞ’, ‘ভোজ-কালিদাস’, ‘জীবনজ্যোতি’, ‘তুকারাম’, ‘কাঁচা দেবযানী’ এবং ‘মানদেশম’র মতো উল্লেখযোগ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
Advertisement
একজন প্রযোজক হিসেবে কৃষ্ণভেণী তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পকে প্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিংবদন্তি অভিনেতা এনটি রামা রাওকে ‘মানদেশম’ সিনেমার মাধ্যতে পরিচয় করিয়ে দেন এ অভিনেত্রী। সিনেমাটি দিয়ে বিখ্যাত সুরকার ঘণ্টাশালা সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এ ছাড়াও তিনি সংগীত পরিচালক রমেশ নাইডু এবং গায়ক পি. লীলার মতো প্রতিভাবানদের জনপ্রিয় করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তার মেয়ে এনআর অনুরাধা চলচ্চিত্র প্রযোজনা করে আলোচিত হন।
এমএমএফ/জিকেএস