জোড়া সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড ৩২০ রান করার পরই চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। যদিও কেউ কেউ কয়েকদিন আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৫৬ রান তাড়া করে হারিয়ে দেয়ার স্মৃতি মনে করে সম্ভাবনার কথা বলেছিলো; কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে ফাইনালের হারের দগদগে স্মৃতির কথা মনে করে শঙ্কার কথাও জানিয়েছিলো।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হলো। ৩২০ রানের বড় স্কোরের নিচে চাপা পড়ে পাকিস্তান আর বের হতে পারেনি। বাবর আজম আর খুশদিল শাহের হাফ সেঞ্চুরি সত্ত্বেও থেমে যেতে হলো ৪৭.২ ওভারে ২৬০ রানে। স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শুভ সূচনা করেছে নিউজিল্যান্ড।
জয়ের জন্য ৩২১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রান তোলার জন্য সংগ্রাম করতে হয় পাকিস্তানি ব্যাটারদের। প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে সক্ষম হয় মাত্র ২২ রান। এ সময় রান তোলার তাড়ায় আউট হতে হয় সউদ শাকিল (৬) এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (৩)।
ইনজুরির কারণে ফাখর জামান খেলতে পারবেন না, এমনটাই ধরে নিয়েছিলো অনেকে। বিশেষ করে তিনি যখন ফিল্ডিংই করতে নামতে পারেননি। তবে তাকে চার নম্বরে নামানো হয়। ফাখর জামান এবং বাবর আজম মিলে চেষ্টা করেন একটা ভালো জুটি গড়তে। তবে তাদের ৪৭ রানের জুটি পাকিস্তানকে খুব একটা আশার আলো দেখাতে পারেনি।
Advertisement
৪১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান ফাখর জামান। এরপর বাবর আজম আর সালমান আলি আগা মিলে গড়ে তোলেন ৫৪ রানের মাঝারিমানের একটি জুটি। ২৮ বলে ৪২ রান করে আউট হন সালমান আলি আগা। ৯০ বল খেলে ৬৪ রান করেন বাবর আজম। মিচেল সান্তনারের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাবর।
তৈয়ব তাহির ব্যাট করতে নেমে দাঁড়াতেই পারেননি। ১ রান করে আউট হয়ে যান। খুশদিল শাহ ৪৯ সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি করেন ১৪ রান। নাসিম শাহ’র ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। ১৯ রান করেন হারিস রউফ।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন উইল ও’ররকি, মিচেল সান্তনার। ২ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি। ১টি করে উইকেট নেন মিচেল ব্রেসওয়েল, নাথান স্মিথ।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করে নিউজিল্যান্ড। ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন টম ল্যাথাম। ১০৭ রান করেন উইল ইয়ং, ৬১ রান করেন গ্লেন ফিলিপস। টম ল্যাথাম জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
Advertisement
আইএইচএস/