ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমি দেশকে বিক্রি কর দিতে পারেন না। এই মন্তব্যের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরল খনিজ সম্পদ চুক্তি নিয়ে তার অসন্তোষ রয়েছে। তিনি জানান, চুক্তির প্রথম খসড়ায় ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কোনো উল্লেখ ছিল না, অথচ যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশ দাবি করেছিল।
Advertisement
জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেন, আমি দেশের ভবিষ্যৎ বিক্রি করতে পারি না। তার মতে, ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদের কোনো চুক্তি তখনই স্বাক্ষরিত হবে, যখন এটি শুধু অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে না, বরং দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে।
জেলেনস্কি আরও অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্যের জগতে বাস করছেন। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তা সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
কিয়েভের হিসাবে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৩২০ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩২ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে ফেলেছে। এর মধ্যে ১২০ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ডলার ইউক্রেন নিজেই বহন করেছে, বাকিটা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে। তবে এই হিসাব যুক্তরাষ্ট্র মানতে নারাজ।
Advertisement
জেলেনস্কি বলেন, তিনি মার্কিন দূত কিথ কেলোগকে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যেতে প্রস্তুত, যাতে তিনি নিজ চোখে পরিস্থিতি দেখতে পারেন। যদি কেউ বাস্তবতা দেখতে চায়, আমি দেখাতে প্রস্তুত আছি।
এদিকে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের টিকে থাকা কঠিন হবে। তবে জেলেনস্কি নিশ্চিত করতে চান যে, কোনো চুক্তিই দেশের সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে করা হবে না।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ নাকি ইউক্রেনই শুরু করেছিল।
এছাড়া, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, দেশটিতে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে সরিয়ে দেওয়ার প্রথম ধাপ হতে পারে।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ