চলছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। এই একটি শব্দগুচ্ছই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা লাখো শিক্ষার্থীর মনে জাগিয়ে তোলে নানা প্রশ্ন, আশা আর উৎকণ্ঠা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেছে। অনেকেই নিজেদের সেরা পরীক্ষাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, অনেকেই হয়তো ফলাফল নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু এখনই থেমে যাওয়ার সময় নয়। কারণ, সামনে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। এই পরীক্ষাগুলোই হতে পারে অনেকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মূল হাতিয়ার। তাই, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি এবং মানসিক দৃঢ়তাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
Advertisement
এই সময়ে যেভাবে নিজের প্রস্তুতিকে এগিয়ে নেবেন-
১. অর্জিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোযারা ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, তারা নিঃসন্দেহে একটি বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নপত্রের ধরন বুঝে উত্তর দেওয়া, মানসিক চাপ সামলে নেওয়া- এসবই এখন তাদের হাতের মুঠোয়। এই অভিজ্ঞতাগুলোই আগামী পরীক্ষাগুলোর জন্য মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানো যায়। ইতিমধ্যে যেসব ভুল হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে সামনের পরীক্ষাগুলোতে সেগুলো এড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য।
২. শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিএখনই সেই সময়, যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। যেসব বিষয় বা অধ্যায়ে দুর্বলতা রয়ে গেছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোতে বেশি সময় দেওয়া যেতে পারে। গণিত, ইংরেজি, কিংবা বিজ্ঞানের যেকোনো বিভাগেই হোক না কেন, শেষ মুহূর্তের রিভিশন অনেক সময় বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। প্রতিদিন একটি ছোট টার্গেট সেট করে সেটি অর্জনের চেষ্টা করলে ধীরে ধীরে পুরো সিলেবাসকেই আয়ত্তে আনা সম্ভব।
Advertisement
ভর্তি পরীক্ষার সময় মানসিক চাপ থাকবেই। কিন্তু এই চাপকে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারলেই সাফল্য নিশ্চিত। প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য বের করে নেওয়া উচিত। হালকা ব্যায়াম, মেডিটেশন, কিংবা পছন্দের গান শোনা- এসবই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে করে মস্তিষ্কও একটু রিল্যাক্স হয়, এবং নতুন শক্তি নিয়ে আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া যায়।
৪. আত্মবিশ্বাসযারা ইতিমধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসী। কারণ, তারা জানেন কিভাবে পরীক্ষার হলে নিজেকে সামলে নিতে হয়, কিভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করতে হয়। এই আত্মবিশ্বাসই আগামী পরীক্ষাগুলোর জন্য মূল হাতিয়ার। নিজের উপর বিশ্বাস রাখা এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
৫. লক্ষ্য স্থির রাখাযে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা দেওয়া হবে, সেগুলো অনেকেরই স্বপ্নের জায়গা। এই স্বপ্নকে মনে ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষাকে একটি নতুন সুযোগ হিসেবে দেখতে হবে। কারণ, এই পরীক্ষাগুলোই হতে পারে জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
৬. হাল ছাড়ার সময় নয়বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, কিন্তু এটি জীবনের শেষ পরীক্ষা নয়। তাই, হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই। যারা ইতিমধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন, তারা তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। যাদের সামনে পরীক্ষা বাকি, তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করুন। কারণ, সাফল্য কখনোই সহজে আসে না। এর জন্য দরকার অধ্যবসায়, ধৈর্য এবং আত্মবিশ্বাস। আর এই গুণগুলোই একজন শিক্ষার্থীকে তার লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
Advertisement
তাই, শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। কারণ, আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়টি হয়তো আপনারই জন্য অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন বিভ্রান্তি এড়িয়ে ভর্তি পরীক্ষার সর্বশেষ তথ্য পাবেন যেভাবে পরীক্ষার মৌসুমে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন যেভাবে মেডিকেল ভর্তিপরীক্ষার ফলাফলে হতাশ, যা করবেনএএমপি/জিকেএস