অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা তুললে প্রতিবার লেনদেনের জন্য গ্রাহককে (এটিএম কার্ডধারী) ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ৩০ টাকা দিতে হবে। এতদিনে ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ ১৫ টাকা হারে কেটে নিতো। যদিও কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক এটিএম বুথ স্থাপনকারী ব্যাংককে ১৫ টাকা করে দেবে।
Advertisement
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এ হার কার্যকর হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রাহক যদি তার ব্যাংক হিসাবে সংক্ষিপ্ত বিবরণী বা স্থিতি নিতে চান তার জন্য ভ্যাটসহ অতিরিক্ত ৫ টাকা দিতে হবে। ক্ষুদে বিবরণীর জন্য দিতে হবে ৫ টাকা এবং তহবিল স্থানান্তরের জন্য গ্রাহককে দিতে হবে ১০ টাকা। এ চার্জ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে দেবে। নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে প্রথম পাঁচটি লেনদেনে (প্রতি লেনদেনে ২০ হাজার টাকা বা গ্রাহকের চাহিদানুসারে অর্থ) ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।
পরবর্তী লেনদেনগুলো ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ চার্জ গ্রাহক থেকে আদায় করতে পারবে। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতায় গ্রাহক প্রতি মাসে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। নগদ অর্থ উত্তোলন ছাড়া অন্যান্য লেনদেনের সার্ভিস চার্জ বাবদ উল্লেখিত সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছে থেকে আদায় করতে পারবে।
Advertisement
বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে দেবে। ইস্যুকারী ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে ওই চার্জ আদায় করতে পারবে।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার:এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), যা অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করতে পারবে।
অনলাইনে আয়কর পরিশোধ এবং সরকারি পরিষেবা:করদাতাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদান ও অনলাইনে আয়কর পরিশোধ সহজ করার লক্ষ্যে ই-রিটার্ন সিস্টেম হতে কার্ড পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) ওয়ালেটের মাধ্যমে আয়কর পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য ফি চার্জ হবে নিম্নরূপ।
ক) বাংলাদেশে ইস্যু করা কার্ড ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) এবং ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করা যাবে।
Advertisement
খ) এমএফএস/পিএসপি ওয়ালেট ব্যবহার করে লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেন প্রতি এক শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত), আদায় করা যাবে। গ) এ লেনদেনের বিপরীতে কোনো চার্জব্যাক প্রযােজ্য হবে না।
এমসিসি-৯৩৯৯ এর বিপরীতে কোনো চার্জব্যাক প্রযােজ্য হবে না। এমসিসি-৯৩৯৯ এর এর বিপরীতে সংঘটিত কার্ড লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইস্যু করা কার্ডের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশােধের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করবে। যার মধ্যে ৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানকে দেবে। ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে এ জাতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচলিত ফি/চার্জ প্রযােজ্য হবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি হতে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
ইএআর/এমএএইচ/জেআইএম