জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি) থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সংস্থাটিকে দেওয়া মার্কিন তহবিল আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক নির্বাহী আদেশে এই নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামাসের হামলায় সহায়তার অভিযোগে গত বছর মানবাধিকার কাউন্সিলের জন্য বরাদ্দ তহবিল স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তায় গঠিত ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাতে (ইউএনআরডব্লিউএ) অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দেন।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্বাহী আদেশে ইউনেস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্বিবেচনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে তহবিল বরাদ্দের ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই সিদ্ধান্ত জানায় দখলদার ইসরায়েলও। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে তেল-আবিব।
Advertisement
ট্রাম্প এর আগের মেয়াদেও ইউএনএইচআরসি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে যখন ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার পরিষদ থেকে বেরিয়ে যায়, তখন জাতিসংঘে নিযুক্ত প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালি বলেছিলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল বর্তমানে ইউএনএইচআরসির নির্বাচিত সদস্য না হলেও পরিষদটি জাতিসংঘের সব সদস্য রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করে।
জেনেভাভিত্তিক ইউএনএইচআরসির ৪৭টি সদস্য দেশ রয়েছে। চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে পর্যায়ক্রমে পরিষদে দায়িত্ব পালন করে সদস্যরা। সদস্য দেশগুলোকে অন্যান্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়।
সূত্র: আল জাজিরা
Advertisement
এসএএইচ