সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
Advertisement
আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আদালত লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই আদেশ দেন। ফলে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। অর্থাৎ এ সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩১৭৩ জনের যোগদানে বাধা কাটল
এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ-সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে ওই নিয়োগে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন।
Advertisement
রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ নভেম্বর রুল দেন। পাশাপাশি গত ৩১ অক্টোবর ও গত ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়নি।
রুলে গত ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে গত ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রুল এখন হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হচ্ছে।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম