ছাত্রদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার বক্তব্যের ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা পাবনায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের নামফলক থেকে শেখ পরিবারের নাম মুছে দিয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
Advertisement
জানা যায়, রাত ৯টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে শহরের শহীদ চত্বরে এসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে আবারও মিছিল নিয়ে এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল হলের নামফলক মুছে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ব্যানার সংবলিত গেট।
এর আগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের ফলক ভেঙে ফেলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে রাত ১১টার দিকে শহরের বীর রফিকুল ইসলাম বকুল স্মরণে স্বাধীনতা চত্বরে টেরাকোটার ম্যুরালে শেখ মুজিবের তর্জনী ভেঙে দেওয়া হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে আগে থেকে ভাঙা স্থানে আবারও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়।
এছাড়া একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আলহাজ মোড়ে বিজয় স্তম্ভের পাশে নির্মিত ঘৃণা স্তম্ভ ভাঙচুর করা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেন, দেশের কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায়। সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আমাদের টহল টিম নিয়মিতই টহল দিয়ে থাকে। ভাঙচুর বা এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে জেলা পুলিশ অবগত নয়। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/এএইচ/এএসএম
Advertisement