কর্মকর্তাদের আপত্তির পরও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার নিয়ে আলাদা সার্ভিস গঠনের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
Advertisement
প্রতিবেদনে বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের পরিবর্তে স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস’ এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ গঠনের সুপারিশ করেছে কমিশন।
কমিশনের প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটির নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।
Advertisement
এতে বলা হয়, বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের পরিবর্তে স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস’ নামকরণ এবং উক্ত সার্ভিসের জনবল নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কাজ সম্পাদনের জন্য আলাদা বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস কমিশন সম্পর্কে আলোচনা করে সুপারিশ পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনওসির কাজ তদারকিতে উপজেলায় এএসপি নিয়োগের প্রস্তাবসাজাপ্রাপ্তকে ক্ষমা, রাষ্ট্রপতির একক ক্ষমতা কমানোর সুপারিশবিসিএস ক্যাডার বাতিল করে সব সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস’ নামকরণ করা হবে। ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিসে’ জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি ইত্যাদি পরীক্ষার কাজ সম্পাদনের জন্য আলাদা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (শিক্ষা) গঠনের সুপারিশ করা হলো।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের পরিবর্তে স্বতন্ত্র ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ নামকরণ করা হবে। ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিসে’ জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি পরীক্ষা ইত্যাদি কাজ সম্পাদনের জন্য আলাদা একটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য) গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বাইরে রাখার প্রস্তাব দেবে কমিশন।
Advertisement
এরপরই এ দুটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এর বিরোধিতা করেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে এর বিরোধিতা করে বিবৃতিও দেওয়া হয়।
আরএমএম/কেএসআর/জেআইএম