দেশজুড়ে

নারীর মাথার চুল কেটে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, আটক ৪

যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীর মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মামলা দিলে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। তাকে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

Advertisement

গ্রেফতাররা হলেন, ঝিকরগাছার বনেয়ালি কলাবাগান পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে শিমুল হোসেন, পদ্মপুকুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুমি, বেনেয়ালি গ্রামের মফিজুর ড্রাইভারের স্ত্রী রনি বেগম ও পদ্মপুকুর গ্রামের মুকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রহিমা।

এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবলুর রহমান খান বলেন, ভিকটিম তার ডিভোর্সি পুত্রবধূকে দেখতে নতুন স্বামীর বাড়ি গিয়েছিলেন। তার স্বামী ও ওই বাড়ির লোকজন তাকে আটকে সাবেক শাশুড়ির মাথার চুল কেটে দেয়। এ সময় তাকে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। পুলিশ এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বিকেলে বেনেয়ালি গ্রামে সাবেক পুত্রবধূকে দেখতে যাই। এ সময় তার নতুন স্বামী শিমুল হোসেন, চাচি শারমিন আক্তার রুমি, চাচি শাশুড়ি রনি বেগম, মা রহিমা বেগমসহ লোকজন মাথার চুল কেটে মুখে কালি লেপন করে দেয়। এ সময় তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। উপস্থিত আরও অনেক মহিলা ও পুরুষ পুরো ঘটনা ভিডিও করেন। পরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে শিমুলের বাড়ির পিলারের সঙ্গে বেঁধে রেখে সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশে দেওয়ার চেষ্টা করে।

স্থানীয় গদখালি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল কাশেম বলেন, শুনেছি, তাবিজ কবজ (যাদু টোনা) সন্দেহে ওই নারীকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। এভাবে একজন মানুষকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে।

মিলন রহমান/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement