বর্তমান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ভেঙে একটি উচ্চ পুনর্গঠন কমিটি গঠন করে নতুন ভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি)।
Advertisement
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল ড. সাইফুল ইসলাম দিলদার।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো:অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানবাধিকারকর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের নামের তালিকা তৈরি এবং নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবশ্যই সরকারের দালালি করার কাজে নিয়োজিত করা যাবে না। এটিকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দিতে হবে। বিগত স্বৈরাচার সরকার এবং কামাল উদ্দিন বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মানবাধিকারকর্মী যথাক্রমে নিহত, নিখোঁজ (গুম) এবং আহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সরাসরি হস্তক্ষেপে ও চাপ দিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ৩টি রেজিস্ট্রেশন স্থগিত রয়েছে। স্থগিত নিবন্ধনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।
Advertisement
এছাড়া স্বৈরাচার সরকারের দোসর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ফরমায়েশি বিচারপতি ও বিচারকদের তালিকা তৈরি করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ করা, মৃত্যুদণ্ড আইন বাংলাদেশে বাতিল/রোহিত করা, যাবজীবন কারাদণ্ড আইন সংশোধন করা এবং ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে বিচার কাজ সম্পূর্ণ করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, উপস্থাপিত ৯টি দাবি মানবাধিকারকর্মীদের নিরাপত্তাসহ সারা দেশে ১৭ কোটি মানুষের দাবি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই দাবি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেনে নেওয়ার জোর আহ্বান জানানো হয়। সরকার দাবিসূমহ না মানলে ৪ সপ্তাহ পর থেকে সারা দেশ ও বিদেশে শাখাগুলো এক সঙ্গে নিজ নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং স্মারকলিপি পেশ করবে।
বিএইচআরসির সভাপতি প্রকৌশলি কাজী রেজাউল মোস্তফার সভাপতিত্বে এসময় কমিশনের অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
এনএস/এসএনআর/এমএস
Advertisement