শিক্ষা

মশার উপদ্রবে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে তিতুমীরের অনশনরত শিক্ষার্থীরা

সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন একদল শিক্ষার্থী। গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ কর্মসূচি গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কলেজের প্রধান ফটকে এ অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। অনশনস্থলে মশার উপদ্রব বেড়েছে। এতে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, অনশনরত শিক্ষার্থীরা কেউ কেউ শরীরে স্যালাইন নিচ্ছেন। কেউ শুয়ে, কেউ বসে আছেন। টানা অনশনে তারা কাহিল হয়ে পড়েছেন। তাদের সঙ্গে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের সেবা-শুশ্রূষা করছেন। সবাই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ।

অনশনরত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় মশার কামড় খেতে হচ্ছে তাদের। দিন গড়িয়ে বিকেলে হলে মশার উপদ্রব আরও বাড়ে। তাছাড়া রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রেন। সেখানে প্রচুর মশা। গত কয়েকদিনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও মশা মারতে যে স্প্রে করা হয়, তাও দিতে দেখেননি তারা। তারপরও দাবি আদায়ে নিদারুণ কষ্টে মশার কামড় খেয়েও সেখানে অবস্থান করছেন।

আরও পড়ুন ডেঙ্গু পরবর্তী সময়ে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে  ডেঙ্গু জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায় কী?  ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, নতুন রোগী ৬৭ 

অনশনরত শিক্ষার্থী রানা বলেন, শিক্ষা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা অনশন করছি। অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মশার উৎপাত আছে। তাতে আমাদের দুর্ভোগ হলেও দমে যাবো না। দাবি আদায় করেই ক্লাসে ফিরবো।

Advertisement

এদিকে, শিক্ষার্থীদের মশার উৎপাত থেকে রক্ষায় অ্যারোসেল ও কয়েল দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শিপ্রা রানী মণ্ডল। তাছাড়া শীতে তাদের সেখানে অবস্থানের জন্য ১০টি কম্বল কিনে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডল বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীরা কষ্ট করছে। ওখানে প্রচুর মশা। এভাবে মশার কামড় খেলে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমরা অ্যারোসেল ও কয়েল কিনে দিয়েছি। তাছাড়া রাতে যেহেতু শীত বেশি। সেজন্য কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনশনকারীদের জন্য ১০টি কম্বল দেওয়া হয়েছে।

এএএইচ/এমআরএম

Advertisement