সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের এক দফা দাবিতে ঢাকা উত্তর সিটিতে অবরোধ কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
Advertisement
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী- মহাখালীতে রেলপথ, মহাসড়ক ও গুলশান-১ এর গোলচত্বর অবরোধ করার কথা ছিল। তবে ইজতেমা থেকে ফেরা মুসল্লিদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে তারা রেলপথ ও মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শিথিল করেছে।
এদিকে, অনশনের পঞ্চম দিনে রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকে জড় হতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে ফটকের সামনের গুলশান-মহাখালী এবং মহাখালী-গুলশান যাওয়ার রাস্তায় বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেন তারা। এতে গুলশান ও মহাখালী সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এ সময় অনেক যাত্রী ও চালক শিক্ষার্থীদের একপাশের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। তাতে সায় দেননি শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে যাত্রী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডায় দেখা যায়।
Advertisement
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ইজতেমার মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে দুপুর পর্যন্ত তারা কর্মসূচি শিথিল রেখেছিলেন। দুপুরের পর থেকে অবরোধ কঠোর করার ঘোষণা রয়েছে তাদের। দ্রুত দাবি মেনে না নিলে ঢাকা উত্তর সিটি অচল করার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে যোগ দেন আরও দুজন। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশেই বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।
৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার পর থেকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গুলশান-১ চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছেন।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ‘আলটিমেটাম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবির যৌক্তিকতা নেই’ বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়। তাছাড়া জনদুর্ভোগ হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার আহ্বানও জানানো হয় বিবৃতিতে।
Advertisement
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনশন, বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচিতে ক্রমেই জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
এএএইচ/এমআরএম