দেশজুড়ে

ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়লেও শীত কমেছে চুয়াডাঙ্গায়

দুদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকলেও চুয়াডাঙ্গায় শীতের তীব্রতা কমেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে কমছে কুয়াশাও। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় ও ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

Advertisement

এর আগে শনিবার ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গত বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। গত মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি। পাঁচদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা কমেছে। সন্ধ্যার পর মানুষ শীতের পোশাক ছাড়াই চলাফেরা করছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, আকাশে মেঘ থাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। পশ্চিম দিক থেকে আসা মেঘের কারণে উত্তরের হিমেল বাতাস বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শীত কমে গেছে। তবে মধ্যরাত থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মেঘ কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া আবারও পরিবর্তন হতে পারে। এসময় তাপমাত্রা কমে ১৪-১৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে।

এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

শ্রমিক জসিম মিয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিন প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছিল। এখন গরমের অনুভূতি বেশি, স্বস্তি লাগছে।’

ভ্যানচালক লিয়াকত আলী বলেন, ‘সকালে শীত একটু টের পাওয়া গেলেও দুপুরের পর থেকে ঠান্ডা লাগে না। এখন তো প্রায় গরমই লাগছে।’

Advertisement

কৃষক রশিদ আলী জানান, ‘ঠান্ডার কারণে মাঠে কাজ করা কষ্টকর হচ্ছিল, কিন্তু এখন আবহাওয়া সহনীয় হওয়ায় ঠিকমতো কাজ করা যাচ্ছে। তবে আবার ঠান্ডা পড়বে কি না, সেটাই চিন্তার বিষয়।’

শহরের কোর্ট মোড়ের নিক্সন পট্টির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘শীতের কাপড়ের বিক্রি এখন কমে গেছে। কয়েকদিন আগেও অনেকে গরম কাপড় কিনছিল, এখন মানুষ হালকা পোশাকেই স্বস্তি পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিক্রি কমে যাবে। মৌসুমি এই দোকান গুটিয়ে নিতে হবে।’

হুসাইন মালিক/এফএ/এএসএম