পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল বিরোধী ব্যাপক প্রচারণাও ঠেকাতে পারেনি মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসকে। রাজ্যের পরবর্তী সরকার হিসেবে মসনদে বসতে যাচ্ছে মমতার দল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশ আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস ২২৩ আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া বাম-কংগ্রেস জোট ৬৩, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৫ ও অন্যরা তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, নারদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত নেতারাও প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন। নারদ কেলেঙ্কারিতে নাম আসা সুবেন্দু অধিকারি নন্দিগ্রামে এবং কলকাতা বন্দরে এগিয়ে আছেন ফিরহাদ হাকিম। সাবেক মন্ত্রী মদন মিত্র সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত অভিযোগে কারাবন্দী থাকলেও কামারহাটি আসনে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তিনিও। ভবানিপুরে প্রথম পর্বের ভোট গণণার পর প্রাথমকি ফলাফলে মমতা ব্যানার্জিও নিজ আসনে ১৫ শ’ ভোটে এগিয়ে আছেন। কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জি, মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, অমিত মিত্র, জোতিপ্রিয় মল্লিকও নিজ নিজ আসনে এগিয়ে আছেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ছয় দফার নির্বাচন শেষ হয় ৫ মে। ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল এই ভোট। এর আগে আসামে ৪ ও ১১ এপ্রিল দুই দফা নির্বাচন হয়। তামিলনাড়ু, কেরালা, পদুচেরিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৬ মে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিলনাড়ু, কেরালা, পদুচেরির ভোট গণনা একই সঙ্গে শুরু হয়েছে।এদিকে, এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোট গণনায় তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জিকে। মমতা বলেন, আমি বাংলার জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিরোধীদের মিথ্যাচার বুঝতে পেরেছে সাধারণ মানুষ। আগামী ২৭ মে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেবে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। এসআইএস/আরআইপি
Advertisement