মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে কারাগারে নেওয়ার সময় তাকে ডিম, জুতা ও টমেটো নিক্ষেপ করেছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আদালত চত্বরের ভেতর তাকে বহনকারী পুলিশের প্রিজন ভ্যানকে লক্ষ্য করে এসব নিক্ষেপ করা হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় মানিকগঞ্জ সদর থানা থেকে পুলিশি নিরাপত্তায় রাজাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আইনজীবীদের প্রাথমিক শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী। তবে এসময় আব্দুর রাজ্জাক রাজার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
রাজাকে জেল হাজতে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আদালত চত্বরের ভেতর পুলিশের প্রিজন ভ্যানকে লক্ষ্য করে ডিম, জুতা ও টমেটো ছোড়েন। এসময় ছাত্ররা রাজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পুলিশের প্রিজন ভ্যান আটকে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় এক ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশের আশ্বাস এবং অনুরোধে প্রিজন ভ্যান ছেড়ে দেন ছাত্ররা।
এর আগে ২২ জানুয়ারি রাত ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হাসনা হেনা অভিযোগ করে বলেন, যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এই রাজা ১৮ জুলাই এবং ৪ আগস্ট তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে অনেকে মারাত্মক জখম হন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বলেন, আসামির পক্ষের কোনো আইনজীবী না থাকায় বাদীপক্ষের আইনজীবীদের প্রাথমিক শুনানি শেষে রাজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তানভীর হোসেন বলেন, ১৮ জুলাই এবং ৪ আগস্ট আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলায় রাজাকে গ্রেফতার করা হয়।
পরবর্তী তারিখে রাজার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Advertisement
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, দুপুরের পর আসামিকে ব্যাপক নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মো. সজল আলী/জেডএইচ/জিকেএস