কুয়েত প্রতিনিধি
Advertisement
কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত রুটে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই আড়াই মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট মাত্র তিনটি। ওই সময় ঈদের ছুটিতে দেশে আসার পরিকল্পনা করছেন অনেক প্রবাসী। কিন্তু বিমানের ফ্লাইট না থাকায় চড়া দামে অন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
আবার অনেকে ঈদের ছুটিতে দেশে আসার পরিকল্পনা বাতিল করছেন। ক্ষতির মুখে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোও। কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স। কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ১৪টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল।
আরও পড়ুন কুয়েত-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালুর দাবি কুয়েত টু চট্টগ্রামের ফ্লাইট ফের চালুর দাবিতে স্মারকলিপিতবে কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে তিনটি ফ্লাইট কমিয়ে দেয় কুয়েত এয়ারওয়েজ ও জাজিরা এয়ারলাইন্স। এতে বেশি খরচে অন্য এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রবাসীদের। আর্থিক ক্ষতিসহ বাড়ছে ভোগান্তি। এর মধ্যে ২৬ এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত আড়াই মাসে কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত রুটে মাত্র তিনটি ফ্লাইট বিমানের। কুয়েতে ট্রাভেল এজেন্সি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মে-জুন মাসে দুই ঈদ ঘিরে দেশে যেতে আগ্রহী প্রবাসীদের চাপ থাকে বেশি। দাম কম এবং ব্যাগেজসহ অন্যান্য সুবিধার থাকার কারণে কুয়েত ঢাকা রুটে প্রবাসীদের প্রথম চাহিদা হচ্ছে বাংলাদেশ বিমান। ঈদের সময়ে বিমানের কুয়েত-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়েত প্রবাসীরা। নিজ দেশের বিমান না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে অন্য দেশের বিমানের টিকিট কিনছেন। এতে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
Advertisement
এমআরএম/জিকেএস