কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। সেশনজটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ৪৭তম বিসিএসে আবেদন করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামতেও দেখা গেছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে আবার অল্প সময়ের জন্য আবেদন করতে করতে পারছেন না।
সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় ৪৭তম বিসিএসে আবেদনের সময়সীমা প্রায় একমাস বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে সেই সময়ের মধ্যে কারও স্নাতক পরীক্ষা শেষ হলেই তিনি ‘অবতীর্ণ প্রার্থী’ (অ্যাপিয়ার্ড) হিসেবে আবেদন করতে পারবেন। এজন্য আগের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির অনুচ্ছেদ-১.০ (বিশেষ নির্দেশনা)-এর উপ-অনুচ্ছেদ ১.৩ (অবতীর্ণ প্রার্থীর যোগ্যতা) কিছুটা সংশোধন আনা হয়েছে।মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে সই করেছেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানা।
সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে অবতীর্ণ প্রার্থীর শর্তযদি কোনো প্রার্থী এমন কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন, যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং যদি তার ওই পরীক্ষার ফলাফল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন) শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশ না হয়, তাহলেও তিনি অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
কেবল সেই প্রার্থীকেই অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল লিখিত পরীক্ষা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে অর্থাৎ, ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সময় বাড়লো এক মাসস্নাতক পরীক্ষা চলমান থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করে আবেদনের সময়সীমা এক মাস বাড়িয়েছে পিএসসি। কমিশনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী- আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রার্থীরা ৪৭তম বিসিএসের আবেদন করতে পারবেন।
এএএইচ/
Advertisement