অর্থনীতি

টিসিবির পণ্যের দাম বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো সম্ভব

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যের দাম বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে এখন টিসিবির পণ্যের দাম বাড়ানো হলে ব্যাপক সমালোচনা হবে জানিয়ে এ উপদেষ্টা বলেছেন, ‘এই চিন্তাগুলো সাহসের সঙ্গে করতে হবে।’

Advertisement

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইসিসির কার্নিভাল হলে ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪’ আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের প্রথম সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ও সিটিজেনস প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজিএস, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

দীর্ঘদিন ধরে টিসিবির পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়নি জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। আমরা রাজনীতিবিদ না। আমরা কি দীর্ঘমেয়াদে ১৭৫-১৮০ টাকায় তেল কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করবো? নাকি ১২৫-১৩০ টাকা করে এক কোটির জায়গায় দেড় কোটি বা দুই কোটি টাকায় প্রসারিত করবো? এই চিন্তাগুলো আমাদের সাহসের সঙ্গে করতে হবে। যদি তা না করি তাহলে আমরাও একই বৃত্তে থেকে যাবো।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হয়। এটাকে যখন ডিজিটাইজড করেছি তখন দেখেছি ৩৭ লাখ ভুয়া কার্ডধারী এখানে। বৃহৎ কিছু প্রতিষ্ঠান টিসিবির টেন্ডারে অংশ নিতে পারে। টিসিবির আকার, পেমেন্ট পলিসি, আর্থিক অবকাঠামো চলছে বাণিজ্যিক ঋণে, যা টেকসই নয়।’

টিসিবির সেবাগ্রহীতা কমানোর কথা বলে তিনি বলেন, ‘আমরা টিকিট সাইজ ছোট করার চেষ্টা করছি। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবির সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। যাতে টিসিবি যে পণ্যটা কেনে, তার মানটা ভালো হয়।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে উন্নয়নের গালগল্প শোনানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখানের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের মিল নেই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কী কী চুক্তি হয়েছে তা আমাদের জানা দরকার, আমাদের শোষণ করা হয়েছে, ভারতের অঙ্গরাজ্যে আমাদের পরিণত করা হয়েছিল। সরকার এখনো এই বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমলাদের সুবিধা দেওয়া হয়েছে নানাভাবে, কিন্তু তারা কাঠামো নষ্ট করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। যারা টাকা পাচার করেছে, দেশের ভেতরেও আছে তাদের টাকা, সেখান থেকে টাকা উদ্ধার করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে খরচ করা উচিত বর্তমান সরকারের।’

Advertisement

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘সরকার কোনো একটি খাতকে গুরুত্ব না দিয়ে সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করবে বলে আশা করি। ১০০ ইকোনমিক জোন হবে না, সরকারিভাবে সেটা পাঁচটিতে নামিয়ে এনেছি।’

এসএম/বিএ