ধর্ম

জুমার দিনের যে আমলে গুনাহ মাফ হয়

জুমার দিন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গোসল করে মসজিদে গিয়ে উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায় অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। এ আমলে সওয়াব লাভ হওয়ায় পাশাপাশি পূর্ববর্তী জুমা পর্যন্ত গুনাহও মাফ হয়ে যায়। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

Advertisement

مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ، فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى

যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)

এ হাদিসে জুমা আদায়ের এই অপরিসীম ফজিলত লাভের শর্ত হিসেবে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৬টি করণীয় ও ২টি বর্জনীয় কাজের কথাও বলেছেন। করণীয় কাজগুলো হলো,

Advertisement

১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ভালোভাবে গোসল করুন।

২. দাঁত ব্রাশ/ মিসওয়াক করুন, সম্ভব হলে সুগন্ধী ব্যবহার করুন এবং উত্তম পোশাক পরিধান করুন।

৩. জুমার নামাজের জন্য দ্রুত মসজিদে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। ইমাম খুতবা শুরু করার আগে অবশ্যই মসজিদে উপস্থিত হোন।

৪. ইমাম খুতবা শুরু করার আগে মসজিদে পৌঁছতে পারলে তাহিয়াতুল মসজিদ বা দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করুন।

Advertisement

৫. খুতবা শুরু হলে মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনুন।

৬. উত্তমরূপে জুমার নামাজ আদায় করুন।

বর্জনীয় ২টি কাজ হলো

১. মসজিদে গিয়ে অন্যদের কষ্ট দিয়ে কাতার ডিঙ্গিয়ে সামনে যাবেন না। জুমার দিন ইমামের কাছাকাছি বসার আগ্রহ ও চেষ্টা থাকা উচিত। কিন্তু সেজন্য আগে আগে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। মসজিদে পরে উপস্থিত হয়ে অন্য মুসল্লিদের ডিঙিয়ে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করা যাবে না।

২. খুতবার সময় কথা বলবেন না। মনযোগ দিয়ে খুতবা শুনুন। অন্য কাউকে চুপ থাকতে বলার প্রয়োজন হলেও ইশারায় বলুন, আওয়াজ করে নয়।

এই সহজ নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মনে রেখে পালন করলে আশা করা যায় আমরা জুমা আদায়ের অপরিসীম ফজিলত লাভ করবো। আল্লাহর আমাদের সওয়াব দান করবেন এবং পূর্ববর্তী সপ্তাহের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

ওএফএফ/জিকেএস