হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নরওয়ের প্রবাসী যাত্রী সাঈদ উদ্দিনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় দুই নিরাপত্তাকর্মীকে বিমানবন্দরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ কথা জানান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
Advertisement
এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তারা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেছেন। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের (দুই নিরাপত্তাকর্মী) ফেরত পাঠানো হয়েছে (বাহিনীতে)। আরও তদন্ত হবে।
তবে কোন দুই নিরাপত্তাকর্মীকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
আরও পড়ুনবিমানবন্দরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায় আনসার সদস্যরা বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, নিরাপত্তাকর্মীরা যথেষ্ট পোলাইট (নম্র) ছিলেন, তবে তাদের আরও পোলাইট হতে হবে। যাত্রীদেরও আরও সহনশীল আচরণ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, এখন বিমানবন্দরে ২৪টি সংস্থা কাজ করছে। তারা সবাই মিলে নিরাপত্তার কাজ করছে। তাদের কেউ কারও শত্রু না। তবে তাদের কেউ যদি কাজে কোনো ভুল করে বসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। বিমানবন্দর থেকে এপিবিএনকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, এপিবিএনের সঙ্গে কারও কোনো ঝামেলা নেই। এপিবিএনের যেখানে ডিউটি করার কথা তারা সেখানেই করছে। মূলত তাদের কাজ বিমানবন্দরের বাইরে। ২০১০ সালে তাদের বিমানবন্দরে দায়িত্ব দেওয়ার সময় এ কারণেই পাঠানো হয়েছিল। শুধু এপিবিএন নয়, কাস্টমস, আনসার, ইমিগ্রেশন পুলিশ, এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক)- যে যার মতো তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। এমএমএ/কেএসআর
Advertisement