দেশজুড়ে

দিনাজপুরে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা

দিনাজপুর সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ সন্তোষজনক। তবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে সাতটিতে এক হাজার ৩৮৭ টন আমন ধান সংগ্রহ হয়েছে। তবে ছয় উপজেলায় এক ছটাকও ধান সংগ্রহ হয়নি।

Advertisement

রোববার (১২ জানুয়ারি) পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ দুই মাসে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ। তবে সিদ্ধ চাল ৬৪ এবং আতপ ৫৬ শতাংশ সংগ্রহ হয়েছে।

গত ১৭ নভেম্বর জেলায় আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। যা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিকেজি ধানের দাম ১ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কৃষকদের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৯৯১ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩৮৭ টন আমন ধান সংগ্রহ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৮ শতাংশ।

চালের দাম ২ টাকা বাড়িয়ে ৪৭ টাকা করা হয়েছে। এ দামে জেলার ১৩টি উপজেলার ৯১১ জন মিলমালিকদের কাছ থেকে ৫২ হাজার ৮৭২.৮১ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৮৪ জন মিলমালিকের কাছ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৬৪৭.৬৮ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যার মধ্যে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ১৮৬ টন সিদ্ধ এবং আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৬ হাজার ৫৭৪ টন। সিদ্ধ ও আতপ মিলে চালের গড় সংগ্রহ ৫৭ শতাংশ।

Advertisement

কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ধান সংগ্রহে সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, বাজারে তার চেয়ে দাম অনেক বেশি। সরকারি গুদামে ধান দেওয়ার পর ব্যাংকে টাকা নেওয়াসহ প্রায় ৯ রকমের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এজন্য কৃষক সরকারি গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নয়।

মিলমালিক আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় সরকারি দাম কম হওয়ায় গুদামে চাল দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মিলমালিকরা। এতে চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হবে।

দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। খাদ্যগুদামে ধান দিতে যে পরিমাণ মায়েশ্চার দরকার কৃষকরা তা করতে চান না। চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সময়মতো সরবরাহ করলে চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে।

এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম

Advertisement