চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ওপেনার লিটন দাসকে। আজ দুপুরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
Advertisement
দল থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভ ব্যাট হাতে ঝাড়লেন লিটন দাস। আজই সন্ধ্যায় দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকার হয়ে বিপিএলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে বসলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরিও বটে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দূর্বার রাজশাহীর বোলারদের বেদড়ক পেটালেন লিটন এবং তানজিদ তামিম। ২৪ বলে ফিফটি করার পর ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন লিটন। ৮টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ছক্কায় এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
টানা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার ব্যাট ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ। নর্থ সাউন্ডে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে একটি ৪০ রানের ইনিংস ছিল তার। পুরো সফরের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে ১০ ইনিংসে ওটাই সেরা। তিন ওয়ানডেতে রান ছিল মোটে ৬ (২+৪+০)।
Advertisement
টি-টোয়েন্টি সিরিজ তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জয়লাভ করেছে। কিন্তু লিটনের ব্যাট যথারীতি ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ছিল ১৪ রান। বাকি দুই ম্যাচে ০ ও ৩ রান। এরপর বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে প্রথম চার ম্যাচেও যারপরনাই ব্যর্থ লিটন। সর্বোচ্চ রান ছিল ৯।
সর্বশেষ ১০ জানুয়ারি সিলেটে স্থানীয় দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭৩ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ৪৩ বলে খেলা তার ওই ৭৩ রানের ইনিংসটি দিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বিবেচনায় আসেননি লিটন। নির্বাচকরাও একটি মাত্র ইনিংস দেখে তাকে বিচার করার সাহস করেননি।
সে ক্ষোভ থেকেই সম্ভবত জ্বলে উঠলেন লিটন দাস। তানজিদ তামিমকে নিয়ে রীতিমত রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন। বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ৪৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণের পর অপরাজিত ছিলেন ৫৫ বলে ১২৫ রানে। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।
২৪১ রানের জুটি গড়েন তানজিদ তামিমের সঙ্গে। বিপিএলের ইতিহাসে যে কোনো উইকেটে এটা রেকর্ড রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ঢাকা সংগ্রহ করে ২৫৪ রান। দলীয় সংগ্রহের ক্ষেত্রে এটাও একটি রেকর্ড।
Advertisement
আইএইচএস/