অ্যাপ্রোচটা বরাবরই পজিটিভ। সে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই পারভেজ হোসেন ইমন মানেই একবুক সাহস নিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলা। তবে জাতীয় দলে পরিসংখ্যান তার পক্ষে কথা বলবে না। ৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রান মোটে ৮৮। একটি ফিফটিও নেই। সর্বোচ্চ ৩৯। স্ট্রাইকরেটও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের মানদন্ডে বেশ কম; ৯৮.৪৭।
Advertisement
যদিও ভিন্ন ফরম্যাটে। তারপরও পারফরমেন্সকে নিয়ামক ধরলে পারভেজ হোসেন ইমনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নেহায়েত অনুজ্জ্বল। জীর্ণ-শীর্ণ। তারপরও তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেয়া হয়েছে।
কোন বিবেচনায়? তিনি কি এর মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট বিশেষ করে ৫০ ওভারের ফরম্যাটের কোন আসরে ভাল খেলেছেন? রানের নহর বইয়ে দিয়েছেন? উত্তর আসবে নাহ! ৫০ ওভারের ফরম্যাটে রান করবেন কী করে?
এর মধ্যেতো আর ওয়ানডে কোন আসরই হয়নি। গত একমাসে প্রথমে এনসিএল টি-টোয়েন্টি তারপর এখন বিপিএল চলছে। তার কোনটাতেই পারভেজ হোসেন ইমনের উল্লেখযোগ্য কোন পারফরমেন্স নেই। বিপিএলে তিন খেলায় (১৩, ০, ১৭) রান মোটে ৩০।
Advertisement
তারপরও তাকে কেন বিবেচনায় আনা হলো? আজ রোববার দুপুরে দল ঘোষণায় উঠলো সে প্রশ্ন। জবাব দিতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও মানছেন পারভেজ ইমনের আহামরি কোনো পারফরমেন্স নেই।
তাই মুখে একথা, পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে আপনারা বলতে পারেন আহামরি কোনো পারফরম্যান্স তার নেই। তাহলে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মত বিশ্ব আসরে নেয়া কেন? উত্তরে প্রধান নির্বাচক যা বললেন, তার অর্থ দাঁড়ায় ইমনের আগ্রাসী মানসিকতা, আক্রমণাত্মক উইলোবাজিটাই তাকে দলে নেয়ার প্রধান কারণ।
লিপুর কথায় আরও পরিষ্কার, তারা মানে নির্বাচকরা তানজিদ তামিমের সাথে আরও একজন মারকুটে এবং হাত খুলে খেলা ওপেনার খুঁজছেন। যিনি পাওয়ার প্লে’তে প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, আমরা যে জিনিসটা খুঁজছি বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে, পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী-ইমপ্যাক্টফুল ব্যাটিং, সে জিনিসটা তার মধ্যে আছে। যদি কোনো কারণে দু’জন ওপেনারের মধ্যে তাকে থার্ড চয়েজ হিসেবে নিতে হয়, একই টেম্পোতে একই অ্যাগ্রাসনে সে ব্যাট করতে পারবে।’
পারভেজ ইমন সম্পর্কে প্রধান নির্বাচকের মূল্যায়ন, ‘যখন দলের হাত খুলে খেলা প্রয়োজন তখন ইমন তেড়ে-ফুড়ে খেলতে পারে। ঝিমিয়ে বা থিতিয়ে পড়ে না। নিজের স্বাভাবিক ঢংয়ে অ্যাটাকিং অ্যাপ্রোচেই দলকে জেতানোর জন্য, দলের মূল লক্ষ্য ঠিক রাখার জন্য আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। তাকে নেয়ার মূল কারণ আসলে এটাই।’
Advertisement
লিপুর শেষ কথা, ‘এত বড় গ্লোবাল টুর্নামেন্টে তাকে যদি রাখা যায়, তার ওপর আস্থা আছে। ভবিষ্যতে দীর্ঘদিন দলে কন্টিনিউ করবে এই আস্থা আছে এ কারণেই তাকে নেওয়া।’
এআরবি/আইএইচএস