শনিবার রাতেই জানা গেল সাকিব আল হাসান দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী বোলিং অ্যাকশন শুধরে নিতে না পারলে আপাততঃ আর তার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করা সম্ভব না। তাই তাকে খেলতে হলে শুধু ব্যাটার হিসেবেই খেলতে হবে।
Advertisement
এখন অলরাউন্ডার সাকিবকে কি শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলানো হবে? গতরাতেও তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা, পর্যালোচনা হয়েছে। এবং তখনই প্রায় জানা গেছে যে, অলরাউন্ডার সাকিবের জায়গায় শুধু ব্যাটার সাকিবকে দলে নিতে তেমন আগ্রহী নয় বোর্ড। অনেক কথা-বার্তার পর অবশেষে নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটার সাকিবকে দলে নেয়া হয়নি।
আজ রোববার দুপুরে দল ঘোষণার প্রেস কনফারেন্সে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কণ্ঠেও সে কথাই ধ্বনিত হলো। প্রধান নির্বাচক জানিয়ে দিলেন, যেহেতু বোলার সাকিব এর সার্ভিস মিলবে না। তাই শুধু ব্যাটার সাকিবকে দলে নিতে আগ্রহী নন তারা।
লিপুর ব্যাখ্যা, ‘সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে যে সমস্যায় আছে, সেটা থেকে উত্তরণের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল। ফলাফল নেগেটিভ হওয়ায় এখন শুধু ব্যাটার হিসেবে খেলতে পারবে। সিলেকশন প্রসেসে ওর অবস্থান ছিল ব্যাটার হিসেবে। এই দলে টিম কম্বিনেশন সাজাতে গিয়ে শুধু ব্যাটার হিসেবে ১৫ জনের দলে জায়গা দিতে পারিনি।’
Advertisement
ব্যাটার সাকিবকে দলে নেয়া হয়নি সত্য; কিন্তু ওয়ানডেতে সাকিবের সর্বশেষ ফর্ম ও পরিসংখ্যান কি বিবেচনায় আনা হয়েছে? সাকিব যে ওয়ানডেতে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে তিনটি ফিফটি (৫৩, ৮০ ও ৮২) এবং দুটিতে চল্লিশের ঘরে (৪০ ও ৪৩) পা রেখেছে, তা কি মাথায় আনা হয়েছে? প্রধান নির্বাচকের ব্যাখ্যা শুনে কিন্তু তা মনে হলো না।
আর তাই বাটার সাকিব সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন ব্যাখ্যা, ‘বোর্ড সভাপতি বলেছেন কেউ রিটায়ার না করলে বিবেচনায় থাকবে। বোলিং অ্যাকশনের পর আমরা আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আমাদের প্ল্যানিংয়ে সাকিব না থাকার কারণেই সেই ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমাদের দলে থাকলে হয়ত, বোর্ড থেকে আরও স্পষ্ট অবস্থান জানতে পারতাম।’
পাবলিকলি, এত ওপেনলি একজন লিজেন্ডারি ক্রিকেটারকে কেন দলে রাখা গেল না এটা আলোচনা করা ভালো কথা না। এ মুহূর্তে দলে যারা আছেন তারা এগিয়ে আছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছেন, তাদের ওপর আস্থা সে কারণেই। মানে শেষ ১০ ম্যাচে ৩২২ রান করে ব্যাটার সাকিব থাকলেন উপেক্ষিত।
এআরবি/আইএইচএস
Advertisement