বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
Advertisement
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
লেবার পার্টির মহাসচিব বলেন, বিডিআর নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের সীমান্ত পাহারা দিয়েছে। কিন্ত দুঃখের বিষয় আজও তারা জেলখানায়। তাদের ওপর এখনো জুলুম করা হচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন। নয়তো সারাদেশের জনতা আবারও রাজপথে নেমে আসবে।
Advertisement
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, বিডিআরদের নিয়ে আর তালবাহানা চলবে না। দ্রুত বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। যাদের বয়স আছে তাদের চাকরিতে বহাল রাখতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হলো:১. পিলখানায় নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের পেছনে দায়ী ব্যক্তিবর্গ এবং নেপথ্যের নায়কদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এবং নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে।
২. প্রহসনের ১৮টি স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে গণহারে গ্রেফতার করে যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের সবাইকে সরকারি সুযোগ সুবিধা (যেমন: রেশন, বেতন ভাতাদি, পদোন্নতি)-সহ পুনরায় চাকরিতে বহাল বা যোগদান করাতে হবে।
৩. তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং নির্ভয়ে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ২ এর (ঙ) ধারা বাতিল করতে হবে।
Advertisement
এর আগে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার।
এমএইচএ/এমএইআর/জেআইএম