তামিম ইকবালের জাতীয় দলে না ফেরার সিদ্ধান্ত কি সঠিক ও সময়োচিত? তিনি কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আরও খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন?
Advertisement
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বর্তমানে হেড অব উইমেনস ক্রিকেট হাবিবুল বাশার মনে করেন, তামিম ইকবাল জাতীয় দলের হয়ে অনায়াসে আরও এক থেকে দুই বছর খেলে যেতে পারতেন।
এ প্রসঙ্গে হাবিবুল বাশারের বক্তব্য, ‘ওপেনার হিসেবে তামিম এখনো খুব ভালো। যথেষ্ট ভালো এখনো। আমার মনে হয়, দেশের যে কোনো ওপেনারের তুলনায় তামিম অনেক ভালো এই মুহূর্তেও। তাই বলতে পারি, একজন ওপেনার হিসেবে তামিমকে ১০ দিলে তার নিকটতম কাউকে ৬-এর বেশি দেওয়া কঠিন।’
তবে সুমনের মতে, তামিম এখন আর মন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট উপভোগ করেন না। তার ভাষায়, ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট ইজ অল অ্যাবাউট চ্যালেঞ্জ। অনেক দিন খেলার পর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে মন চায় না বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই। মন ছুটি চায়। আমার মনে হয়, তামিমের মনও তাই চেয়েছে। তাই সে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
Advertisement
তবে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ার সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাবিবুল বাশার সুমন এক নতুন তথ্য জানিয়েছেন। বাশার তামিমকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক নতুন ধারার প্রবর্তক বলে অভিহিত করেছেন।
শনিবার রাতে জাগো নিউজের সঙ্গে তামিমের ক্যারিয়ার ও জাতীয় দল থেকে অবসরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাশার বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে তামিম আসলে একটা নতুন ধারার প্রবর্তক। তামিমের অভিষেকের আগে আমরা ওয়ানডে ক্রিকেটের ১৫ ওভারের পাওয়ার প্লের (তখন পাওয়ার প্লে ছিল ১৫ ওভারের) অ্যাডভান্টেজ নিতে পারতাম না তেমন। তামিমই সেই অ্যাডভান্টেজ নেওয়া শুরু করলো। সে হাত খুলে প্রতিপক্ষের ফ্রন্টলাইন বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে পারতো। আমরা সে সময় জাতীয় দলে এমন একজন ওপেনার খুঁজছিলাম, যে পিঞ্চ হিটিং করতে পারে।’
‘তখন নতুন বলে পাওয়ার প্লের ফিল্ডিং বিধিনিষেধের মধ্যে ৩০ গজের ফিল্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে তুলে মেরে রান করাকে পিঞ্চ হিটিং বলা হতো। আমাদের জাতীয় দলে তখনকার ওপেনারদের কেউ সেই কাজে তেমন পারদর্শী ছিল না। তামিমই প্রথম সাহস নিয়ে উইকেটের সামনে ও দুই দিকে আক্রমণাত্মক সব শট খেলে ১৫ ওভারে প্রতিপক্ষ বোলারদের এলোমেলো করে রানচাকা সচল রাখতো।’
‘তামিম আসলে এমন একজন ব্যাটার হিসেবেই এসেছিল। এবং কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছিল তামিমের হাত ধরে। তামিমের সেই ক্ষমতার প্রথম স্ফুরণ ঘটেছিল ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে খেলায়। ক্রিকেটবিশ্ব জেনে যায়, বাংলাদেশের একজন মারকুটে ওপেনার এসেছে, যে নতুন বলে প্রথম ১৫ ওভারে বোলার ও ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে বড় বড় শট খেলতে পারে।’
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমএস