কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দেওয়া নতুন সদস্যপদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে নতুন এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও পেরোতে পারেনি। ৫০ লাখের আগেই আটকে গেছে দলটি।
Advertisement
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, তারপর লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার পর রাজ্যের উপনির্বাচনগুলোতেও তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে দাঁড়াতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে টক্কর দেওয়ার জন্য ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ রাজ্যে এসে বঙ্গ বিজেপিকে নতুন এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে যান।
সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সময় ছিল ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রায় দুই মাস অতিক্রম করলেও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য কমিটি সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডাহা ফেল করেছে।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
এই বিষয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পান্ডে ও অমিত মালব্য জানিয়েছেন, নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের পরীক্ষায় পাস করতে গেলে ৩০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি এই পরীক্ষায় ২৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যা ফেল করারই শামিল।
যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের দাবি, ৫০ লাখ সদস্য হয়ে গেছে। ৬০ লাখের কাছাকাছি যাওয়া যাবে।
রাজ্য বিজেপির নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ডাহা ফেল করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক পরিযায়ী কয়েকজন রাজ্যে এসে বড় বড় কথা বলে যান।
কুণাল ঘোষ আরও বলেন, বিয়ে বাড়ি, অন্নপ্রাশন, শ্রাদ্ধ বাড়িতে গিয়ে মিসকল দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এভাবে কোনো দল হয় নাকি? সার্কাস পার্টি বিজেপি। এই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জনবিচ্ছিন্নতা রয়েছে। বাংলার শত্রু এরা। রাজ্য বিজেপি সাংগঠনিকভাবে দীর্ণ, চূর্ণ।
Advertisement
ডিডি/কেএএ/