বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, যা পুঁথিগত জ্ঞান এবং পরীক্ষার ফলাফলের ওপর কেন্দ্রীভূত, ক্রমবর্ধমানভাবে সমাজের নৈতিক, সামাজিক এবং সৃজনশীল বিকাশে অবদান রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রকৃত শিক্ষা শুধু তথ্যের পুনরাবৃত্তি নয় বরং সৃজনশীল চিন্তা, মানবিক মূল্যবোধ এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া।
Advertisement
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্বের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে শিক্ষার্থীরা কোর্সের মধ্যে অতিরিক্ত সামাজিক কর্মসূচি যেমন কমিউনিটি সেবা ও সৃজনশীল প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে, সেখানে তাদের চিন্তা শক্তি ও মানবিক মূল্যবোধ বাড়ে। যদি আমরা শিক্ষা শুধুমাত্র পুঁথিগত জ্ঞানে সীমাবদ্ধ রাখি, তাহলে সমাজে দুর্নীতি, আত্মকেন্দ্রিকতা এবং শ্রেণীবিভাজন আরও বৃদ্ধি পাবে।
এই প্রেক্ষাপটে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রকৃতি ও বাস্তব অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা এবং মানবিক মূল্যবোধের ওপর জোর দিতে হবে। এজন্য, নতুন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজন, যা কেবল ডিগ্রি অর্জন নয় বরং মানবিক চরিত্রের উন্নতি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। আধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী পদ্ধতি এবং ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে আমরা একটি এমন সমাজ গড়ে তুলতে পারব, যেখানে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য, অর্থাৎ, মানবিক কল্যাণ এবং সৃজনশীলতার বিকাশ, সফলভাবে অর্জিত হবে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা, যা ডিগ্রি এবং পরীক্ষার ফলাফলের ওপর কেন্দ্রীভূত, ক্রমবর্ধমানভাবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। এটি মানবসৃষ্ট প্রতিভার সীমাহীন সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে তোলে। প্রকৃত শিক্ষা কি শুধুই পুঁথিগত জ্ঞান? নাকি এটি বাস্তব অভিজ্ঞতা, সৃজনশীল চিন্তা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত? এই প্রশ্নগুলো বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক যখন আমরা ২১শ শতাব্দীর গতিময় চাহিদাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছি।
Advertisement
উদাহরণ: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতি যেখানে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ছাত্রদের মূল্যায়ন করা হয়, তা তাদের প্রকৃত সৃজনশীলতাকে দমন করে। সুইডেন বা ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীল দক্ষতার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তা আরও কার্যকরী এবং পরিবেশবান্ধব শিক্ষা তৈরি করছে।
প্রথাগত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা: একটি পুনর্মূল্যায়ন:ভারতের সর্বাধিক শিক্ষিত ব্যক্তি শ্রীকান্ত জিচকারের অসাধারণ শিক্ষাজীবন আমাদের বিস্মিত করে। একাধিক ক্ষেত্রে তার দক্ষতা এবং অসংখ্য ডিগ্রি অর্জন তাকে ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’-এ স্থান করে দিয়েছে। তবুও, প্রশ্ন থেকে যায়—এই ধরনের প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা কি তার অন্তর্নিহিত দক্ষতাগুলোর সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পেরেছিল?
বিশ্লেষণ: জিচকারের অসংখ্য ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও তার জীবনযাত্রা, অন্যদিকে, গভীর এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রাপ্ত দক্ষতার বিকাশ সম্ভব হয়নি। প্রথাগত শিক্ষার সীমাবদ্ধতা উদাহরণ হিসেবে এই ধরনের ব্যক্তিত্ব উঠে আসে, যেখানে অনেক তথ্য এবং তত্ত্ব জানলেও সমাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে প্রয়োজনীয় বাস্তব দক্ষতার অভাব থাকে।
অন্যদিকে, ইলন মাস্কের শিক্ষাদর্শন এই সীমাবদ্ধতাগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানায়। মাস্ক বিশ্বাস করেন, প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থা প্রায়শই শিশুদের প্রকৃত দক্ষতা এবং কৌতূহল দমন করে। তার প্রতিষ্ঠিত Ad Astra স্কুলে, শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষাদান করা হয়, যা প্রকল্প-ভিত্তিক শেখার মাধ্যমে বাস্তবমুখী দক্ষতা গড়ে তোলে।
Advertisement
ব্যক্তিগত মতামতের প্রতিফলন: তোতাপাখি শিক্ষা বনাম প্রকৃত শিক্ষা:আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ‘তোতাপাখি শিক্ষার’ যুগ শেষ হওয়া উচিত। প্রকৃত শিক্ষা কেবল তথ্য সংগ্রহের জন্য নয় বরং প্রকৃতি এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শেখার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত।
১. তোতাপাখি শিক্ষা বনাম বাস্তব শিক্ষা:মুখস্থ-ভিত্তিক পদ্ধতি শিশুর সৃজনশীলতা এবং কৌতূহল নষ্ট করে। প্রকৃত শিক্ষা এমন একটি প্রক্রিয়া যা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, সমস্যা সমাধান এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখাকে গুরুত্ব দেয়। উদাহরণ: ইউনাইটেড স্টেটসের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম যেখানে ছাত্রদের প্রকল্প-ভিত্তিক ও গেম-ভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে পরিচিত করা হয়।
২. শিক্ষার উদ্দেশ্য পুনর্নির্ধারণ:শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কৌতূহল জাগানো এবং এটি দক্ষতায় রূপান্তরিত করা। এটি মানুষের প্রকৃতিবিজ্ঞানী চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশ্লেষণ: কৌতূহল এবং শেখার পদ্ধতির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনা জরুরি। স্কুলে ছাত্রদের প্রকৃত শখ ও আগ্রহের দিকে মনোযোগ দেওয়া হলে, তারা আরও উদ্ভাবনীভাবে চিন্তা করতে সক্ষম হবে।
৩. ব্যবহারিক শিক্ষার শক্তি:উদাহরণস্বরূপ, ইঞ্জিনের কাজ শেখানোর সময়, তত্ত্বের বদলে সরাসরি ইঞ্জিন খোলা এবং তার কার্যপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা শিক্ষার্থীর শেখার ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
শিক্ষাব্যবস্থার রূপান্তরের প্রস্তাবনা: একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি:বর্তমান ব্যবস্থার দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে শিক্ষাব্যবস্থায় নিম্নলিখিত পরিবর্তন আনা উচিত:
১. প্রকৃতি ও বাস্তব অভিজ্ঞতার শিক্ষা:শিক্ষার্থীদের প্রকৃতি এবং বাস্তব চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে শেখার সুযোগ দিতে হবে। উদাহরণ: ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা প্রকৃতির মধ্যে শিখতে যাচ্ছে এবং প্রকল্পভিত্তিক কাজ করতে উৎসাহিত হয়, যেখানে তারা তাদের শিক্ষা প্রকল্প বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে কাজে লাগাতে পারে।
২. সৃজনশীলতার ওপর জোর:শিশুর চিন্তা-ভাবনার সৃজনশীল বিকাশের জন্য একটি নমনীয় এবং মুক্ত পদ্ধতি গড়ে তোলা জরুরি। উদাহরণ: অনেক স্কুল এখন সৃজনশীল প্রকল্প ভিত্তিক শেখার পদ্ধতি গ্রহণ করছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কাজের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা মুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারে।
৩. গ্রেডবিহীন শিক্ষা:শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রেণিবিভাগ করার মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত উন্নতির সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিশ্লেষণ: গ্রেডবিহীন শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের তাদের নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ মেলে, যেখানে তারা তাদের অভ্যন্তরীণ আগ্রহ ও দক্ষতাকে বিকশিত করতে পারে।
৪. গেম-ভিত্তিক এবং সিমুলেশন পদ্ধতির ব্যবহার:Ad Astra স্কুলে ব্যবহৃত “Synthesis” প্রোগ্রামের মতো উদ্ভাবনী পদ্ধতি শেখাকে মজাদার এবং কার্যকর করতে পারে। উদাহরণ: গেম-ভিত্তিক শেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধান করতে শেখে এবং ক্রিয়েটিভিটি ও চিন্তা-ভাবনা দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
অতিরিক্ত গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ: প্রযুক্তির ভূমিকা:
শিক্ষার ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে সংযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ:• এআই এবং মেশিন লার্নিং: শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার অভিজ্ঞতা দিতে পারে। উদাহরণ: AI প্রোগ্রামগুলি এখন শিক্ষার্থীদের শেখার ধরন অনুযায়ী কাস্টমাইজড শিক্ষার অভিজ্ঞতা প্রদান করছে, যা তাদের শিখতে সাহায্য করছে। উদাহরণস্বরূপ, Duolingo এবং Coursera এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো AI ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের শেখার গতির ওপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট পরামর্শ দেয়।
• অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: যেমন YouTube এবং Reddit, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য এক বিশাল ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
বিশ্লেষণ: এসব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের আগ্রহ অনুসারে কোনো বিষয়ে অনলাইন কোর্স এবং আলোচনা করতে পারে, যা তাদের ব্যক্তিগত শিক্ষার অভিজ্ঞতা শক্তিশালী করে। এতে শিখন প্রক্রিয়া সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে, পাশাপাশি বৈশ্বিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগও তৈরি হয়।
আমাদের প্রকৃত শিক্ষার পথ: কোথায় এবং কীভাবে?আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় পূথিগত জ্ঞান ও মানবিক মূল্যবোধের মধ্যে ভারসাম্য আনা জরুরি। এর জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন:
১. নৈতিক শিক্ষার সংযুক্তি: • স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে নৈতিক শিক্ষা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। • শিক্ষার্থীদের কেবল পরীক্ষা নয়, তাদের সামাজিক ও নৈতিক আচরণেও মূল্যায়ন করতে হবে।
উদাহরণ: বেশ কিছু স্কুলে সামাজিক দায়িত্বশীলতার ওপর প্রজেক্ট কাজ দেওয়া হয় যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সমাজসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে, যেমন পরিবেশ সচেতনতা, দরিদ্রদের সাহায্য ইত্যাদি, যা তাদের মানবিক মূল্যবোধ বাড়ায়।
২. ব্যবহারিক ও বাস্তব শিক্ষা: • শিক্ষাকে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
উদাহরণ: একাধিক প্রযুক্তি স্কুলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাস্তব জীবন সমস্যা যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণ, স্বাস্থ্যবিধি ইত্যাদি বিষয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করে থাকে, যা তাদের শেখার ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা বাড়ায়।
৩. সম্পর্কনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা: • প্রতিযোগিতার পরিবর্তে সহযোগিতা এবং দলগত দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে।
বিশ্লেষণ: একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলগত প্রকল্প ভিত্তিক কাজ, যেমন গবেষণা বা শিল্প প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহায়তার মাধ্যমে শিখে এবং মানবিক সম্পর্কের শক্তি তৈরি হয়।
৪. শিক্ষকের ভূমিকা পরিবর্তন: • শিক্ষকরা কেবল পাঠদানের জন্য নয় বরং শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি বিকাশে মেন্টর হিসেবে কাজ করবেন।
উদাহরণ: বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কেবল পাঠ্যবই থেকে নয়, জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মেন্টরশিপ প্রদান করেন, যেমন নেতৃত্ব, সংবেদনশীলতা এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া।
উপসংহার: সুশিক্ষার উদ্দেশ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা:পূথিগত শিক্ষার সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয় না ঘটালে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দুর্নীতির সংস্কৃতি, আত্মকেন্দ্রিকতা এবং শ্রেণিবিভাজন আরও বাড়াবে। তাই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত জ্ঞানের পাশাপাশি নৈতিকতা এবং সহানুভূতিশীল একটি সমাজ গড়ে তোলা। আমরা যদি শিক্ষা দিয়ে একটি শ্রেণিবিভক্ত, আত্মকেন্দ্রিক সমাজ সৃষ্টি করি, তবে প্রকৃতপক্ষে শিক্ষিত হওয়ার উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
শিক্ষা কখনোই মুখস্থ করার প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত নয়। এটি হওয়া উচিত এমন একটি প্রক্রিয়া যা মানবসৃষ্টির প্রকৃত স্বভাব—সৃজনশীলতা, অনুসন্ধান, এবং উদ্ভাবন—উজ্জীবিত করে।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং ইলন মাস্কের শিক্ষাদর্শন একত্রে দেখায় যে, ভবিষ্যতের শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে সৃজনশীল, বাস্তবমুখী এবং শিক্ষার্থীদের প্রকৃত দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে।
নতুনত্বের দৃষ্টিভঙ্গি: শিক্ষা ও মানবকল্যাণ:অতীতের প্রথাগত পদ্ধতির সঙ্গে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী চিন্তাধারার মিশ্রণে একটি নতুন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব। এটি কেবল ব্যক্তিগত উন্নয়নের জন্য নয় বরং মানবতার সার্বিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি শিক্ষাকে এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গড়ে তোলা যায়, তাহলে এটি আগামী প্রজন্মকে কেবল একজন পেশাদার নয় বরং একজন দক্ষ, মানবিক এবং সৃজনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
রহমান মৃধা, গবেষক ও লেখক(সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন)Rahman.Mridha@gmail.com
এমআরএম