একুশে বইমেলা

এখন বুক ফটোগ্রাফি অনেক জনপ্রিয়: সাদিক খান

সাদিক খান একজন আলোকচিত্রী। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা জামালপুরে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রকৃতির আদুরে কন্যা খ্যাত বাকৃবি ক্যাম্পাস জীবনই তাকে আরও কাব্যিক করেছে। ব্রহ্মপুত্র নদ তাকে দিয়েছে নবপ্রাণ। তিনি প্রাণ খুঁজে পান ছবি, কবিতা আর গানে।

Advertisement

এবারের বইমেলায় বুক ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—

জাগো নিউজ: বুক ফটোগ্রাফিতে কবে এলেন? পেশা হিসেবে কেমন?সাদিক খান: ছবি তোলার সঙ্গে দশ বছর। বুক ফটোগ্রাফি আমার ফটোগ্রাফির বিভিন্ন সেক্টরের একটা পার্ট মাত্র। যেহেতু আমি নিজেও লেখালেখি ও বইয়ের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সম্পৃক্ত। তাই আমিও চাচ্ছিলাম ফটোগ্রাফির সঙ্গে বইকে সংযুক্ত করতে। বইয়ের থিম কিংবা আর্ট প্রচ্ছদের জীবন্ত ছবি সৃষ্টি করতে। ওই চিন্তা থেকেই বুক ফটোগ্রাফি ২০১৯ সাল থেকে শুরু করি। এখন বুক ফটোগ্রাফি অনেক জনপ্রিয়।

জাগো নিউজ: বইমেলা এলেই আপনাকে সরব দেখা যায়। কেমন সাড়া মেলে?সাদিক খান: বইমেলার সময় বুক ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। তবে সারাবছরই টুকটাক বিভিন্ন থিমের ওপরেও বইছবির চিত্রায়ণ করি। আর বইমেলার সময় লেখকদের ফেসবুকের টাইমলাইনজুড়ে আমার তোলা ছবিতে সয়লাব থাকেই।

Advertisement

আরও পড়ুন• পাঠকে পরিপূর্ণ বইমেলা অনুষ্ঠিত হোক: সাদাত হোসাইন • বিক্রি বাড়ছে মানহীন বইয়ের: সানাউল্লাহ সাগর 

জাগো নিউজ: ফটোগ্রাফার হিসেবে কী কী কাজ করে থাকেন?সাদিক খান: আমি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিংবা স্ট্রিট ফটোগ্রাফি বেশি করি। তবে মানুষের ছবি তোলাটাও নেশা। শুধু মনে হয় আশেপাশের কিংবা চেনা পরিচিত সবার একটা সুন্দর মুখচ্ছবি যেন আমি ফ্রেমবন্দি করি।

জাগো নিউজ: কবি-লেখকদের প্রোফাইল পিক তোলেন, সম্মানি মেলে?সাদিক খান: গান, অভিনয় কিংবা সাহিত্য জগৎ—শিল্পের তিনটা শাখাতেই আমার অনেক বিচরণ। তাই সবাই প্রায় পরিচিত। আর পরিচিতজনদের দু’একটা পোর্ট্রেট তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। সম্মানি না পেলেও সম্মান, স্নেহ আর ভালোবাসা তো পাওয়া যায়।

জাগো নিউজ: ফটোগ্রাফি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?সাদিক খান: ফটোগ্রাফি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনেক। আমি কলম, ক্যামেরা আর কণ্ঠচর্চাতেই থাকতে চাই সব সময়। গল্প বলতে চাই লেখায়, ছবিতে কিংবা গানে। আমি আমার ক্যামেরায় দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে চাই বিশ্ববাসীর কাছে। দেশ ছাপিয়ে ক্যামেরা হাতে ঘুরতে চাই বিশ্ব। ফটোগ্রাফি থেকে অর্জিত সম্মানির একটা বড় অংশ পথশিশু কিংবা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করতে চাই। সব সময় থাকতে চাই আমার মতো স্বপ্নবাজ ছেলেমেয়ের পাশে। সবার ভালোবাসা ও দোয়া চাই।

Advertisement

এসইউ/জিকেএস