কক্সবাজারের নাজিরারটেক এলাকায় পোনাবাহী বিধ্বস্ত কার্গোবিমানটি উদ্ধারে সমন্বিত চেষ্টা চলছে। সমুদ্রে ভাটার টান পড়ার পর পরই দমকল বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর পৃথক দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে। উদ্ধারকারীদের সহযোগিতা করছেন জেলে ও স্থানীয় লোকজন। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দীন জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত বিমানটি কূলে আনার চেষ্টা চলছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে আসা নৌ-বাহিনীর জাহাজ দু’টি নাব্যতার কারণে উদ্ধার স্থলে আসতে পারছে না। কক্সবাজার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নজরে আসলে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ৪ জন পাইলট ছিল বলে জানতে পেরেছি। তাদের মধ্য থেকে দু’জনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা গেলেও দু’জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধার দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পুলিশের একটি দল। এটি সম্পূর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হলে নিখোঁজদের বিষয়ে জানা যাবে। উল্লেখ্য, বুধবার সকালে নাজিরাটেক সমুদ্র পয়েন্টে ৪ পাইলটসহ বেসরকারি এয়ারকার্গো বিধ্বস্ত হয়। সে সময় সাগরে ভাসমান অবস্থায় দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের কক্সবাজার হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ নোলরীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত গাটারভ ওয়াদের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিখোঁজ অপর দু’জন হলেন- বিমানের নেভিটের কালটুরভ কো-পাইলট জুলুডিমির। তারা চারজনই ইউরোপিয়ান। বিমানটি কক্সবাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন এ্যাকোয়াশপ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্কাইবোর নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। এসএস/পিআর
Advertisement