চাকরির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি নির্ভুল জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি। আমরা অনেকেই সিভিতে নানারকম ভুল করে থাকি। ফলে অনেক সাধের সোনার হরিণটা কেবলই হাতছাড়া হয়ে যায়। আসুন জেনে নেই কী সেই ভুলগুলো। সিভিতে ভুল নিয়ে আজ প্রকাশ হচ্ছে ১ম পর্ব।১. অন্যের সিভি নিয়ে তার মধ্যে নিজের নাম-ঠিকানা বসিয়ে সিভি তৈরিকে বলা যায় প্রথম ভুল। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নির্ভরশীলতা কি ঠিক? আমরা প্রত্যেকেই ইউনিক, প্রত্যেকের সিভিও ইউনিক। ২. সিভি কপি করার সময় অনেকের পিতার নাম, মোবাইল নম্বর ওই ব্যক্তিরটাই থেকে যায়।৩. সিভি সাহিত্যচর্চার জায়গা নয়। মনে রাখবেন, সিভি যতো বড়, সিভি ছুড়ে ফেলে দেয়ার সম্ভাবনাও ততো বেশি। অনভিজ্ঞ থেকে শুরু করে ৬-৭ বছর যারা চাকরি করছেন, তাদের সিভি হবে ২ পৃষ্ঠা। ৬-১৫ বছর যাদের অভিজ্ঞতা তাদের সিভি হবে ৩ পৃষ্ঠা। প্রতি ১০ বছরের কাজ লিখতে একটি পেজ পাবেন। ৪. চক চক করলেই যেমন সোনা হয় না, তেমনি সিভিতে কালারিং করলেই যে সিভি চোখে পড়বে তা কিন্তু নয়। বরং সেটা আপনার রুচিহীনতা প্রকাশ করে। সিভি হবে সাদা কাগজে কালো লেখা।৫. ফরমেট ভালো হলে সিভি ভালো হবে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি যদি কাজ করেন, তাহলে যেকোনো ফরমেটেই সেটা বসালে চলবে। কাজ-ই আপনার হয়ে সুপারিশ করবে, ফরমেট নয়। ৬. সিভিতে নামের পর বর্তমান ঠিকানা লিখতে হয়। বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে আপনি যেখানে রাতে ঘুমান সেই ঠিকানা। বাবার বাড়ি, স্থায়ী ঠিকানা, শ্বশুর বাড়ির ঠিকানাও সিভিতে পাওয়া যায়। এগুলো থাকলে হবে না। ৭. ফোন নম্বরে কান্ট্রি কোড না দেওয়া বিরাট ভুল। সিভি দিচ্ছেন দুবাই। দুবাই গিয়ে ইন্টারভিউ দিবেন? দুবাই থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে কীভাবে? ৮. সিভিতে অনেকের মেইল আইডি পাওয়া যায় voboghure@yahoo.com, paglababa@gmail.com ইত্যাদি। নিশ্চিত থাকতে পারেন, এরকম আজেবাজে মেইল আইডি থাকলে ইহজনমেও ইন্টারভিউয়ের ডাক পাবেন না। ৯. স্কাইপি আইডি অবশ্যই সিভিতে দিয়ে রাখুন। কোনো রিক্রুইটারের সময় নেই, আপনাকে খুঁজে বের করে আপনার সাথে অনলাইনে ইন্টারভিউ অ্যারেঞ্জ করবে। হোয়াটস আপ ও ভাইবারও একটিভ রাখুন। ১০. লিঙ্কডইন রেডি রাখবেন সব সময়। যে কেউ যেন ভিজিট করলেই আপনার সম্পর্কে জেনে যায়।লেখক: ট্রেইনার ও প্রফেশনাল সিভি রাইটার, চিফ নলেজ ডিস্ট্রিবিউটর, কর্পোরেট আস্ক বাংলাদেশ।এসইউ/এবিএস
Advertisement