প্রধান বিচারপতি ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। রোববার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানি নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ আহ্বান জানান।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “প্রধান বিচারপতি কোনো ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধান বিচারপতিকে বিতর্কিত করা মানে বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। তাই প্রধান বিচারপতি ও বিচারালয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”মীর কাসেমের আপিল শুনানি পুনরায় করার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, “মন্ত্রীদের এ ধরণের উক্তি অসাংবিধানিক। এ বক্তব্য ন্যায় বিচার ব্যাহত করবে ও যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। মীর কাসেমের মামলার রায় কী হয় তা দেখতে সকলকে ৮ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”গতকাল (শনিবার) ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির এক আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের মামলার আপিল শুনানি পুনরায় করার দাবি জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইমলাম। তিনি বলেন, “এই মামলার রায় কী হবে তা প্রধান বিচারপতির প্রকাশ্যে আদালতে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমি অনুধাবন করতে পেরেছি। তার বক্তব্যের মধ্যে এটা অনুধাবন করেছি যে, এই মামলায় আর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”তিনি আরো বলেন, “এরপরও যদি মামলার রায়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে, তাহলে সবাই ভাববে, সরকার চাপ দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। তাই আমি দাবি জানাচ্ছি যে, প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে মীর কাসেমের মামলার আপিল শুনানি পুনরায় করা হোক।”কামরুল বলেন, “বাংলাদেশে ৪৫ বছরে অনেক বিচারপতি এসেছে আর গেছে, কিন্তু কেউ তার মত এত অতিবক্তব্য দেননি। তার অতিকথনে সুধি সমাজের মানুষেরা জিহ্বায় কামড় দিচ্ছেন। তাই তাকে অতিকথন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর তা না হলে সরকারকে নতুন করে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করা উচিত বলে আমি মনে করছি।”এছাড়া সভায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলছি, এই রায় নিয়ে শঙ্কা এখন একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। তবে এই সংকট আমাদের সৃষ্ট নয়। সংকট সৃষ্টি করেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি। এটাই আমাদের দুঃখ।”রায়ের আগে প্রধান বিচারপতি যদি এমন কথা বলেন তাহলে জাতি কোথায় যাবে বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।এফএইচ/আরএস/এমএস
Advertisement