কৃষি ও প্রকৃতি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষকের বাড়ি

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির উন্নতি মানেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে কৃষির উন্নয়ন ঘটে চলেছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আবির্ভাব হয়েছে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রাচীনকালে ব্যবহৃত কৃষকদের কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি বিলুপ্ত প্রায়। আর এসব বিলুপ্ত প্রায় কৃষি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছে কৃষি জাদুঘর।

Advertisement

বাঁশ, বেত, কাঠ ও লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণ, আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশ, তামা ও পিতল দিয়ে তৈরি উপকরণ, মাটির তৈরি উপকরণ, মাটি ও সার জাতীয় উপকরণ, বিভিন্ন ফসলের বীজ, বিরল প্রজাতির ধান, ওষুধি উদ্ভিদ ও ফল-মূল, মাছ ধরার উপকরণ, ফরমালিনে সংরক্ষিত মাছ, প্রাণী ও প্রাণীর কঙ্কাল জাতীয় উপকরণ, বাদ্যযন্ত্র বিশিষ্ট উপকরণ, অলংকার জাতীয় উপকরণসহ কৃষকের ব্যবহৃত উপকরণ।

জাদুঘরটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে ৫০০ মিটার পশ্চিমে এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত। কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, কৃষি উপকরণ এবং যন্ত্রপাতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে বাকৃবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি কৃষি জাদুঘর গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন।

তারই আলোকে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান জাদুঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। জনবল সংকট ও পারিপার্শ্বিক কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও ২০০৭ সালের ৩০ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসাইন মিঞাঁ জাদুঘরটি সবার জন্য উন্মুক্ত করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাট ভবিষ্যৎ অর্থনীতির চালিকাশক্তি 

পাঁচ একর আয়তনের জাদুঘরটি অষ্টাভূজী ভবন। ভবনের মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে উন্মুক্ত জমি। যেখানে করা হয়েছে ফুলের বাগান। অফিসের জন্য দুটি কক্ষ এবং প্রদর্শনীর জন্য ছয়টি কক্ষ। এসব কক্ষে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে প্রাচীনকালে ব্যবহৃত কৃষক ও কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ।

জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রয়েছে ৬টি ডিসপ্লে রুম। যাতে বড় বড় কাচের তাকে সাজানো রয়েছে প্রায় ৭ শতাধিক উপকরণ। জাদুঘরের প্রবেশ লবিতে প্রদর্শিত হয়েছে বিচিত্র সব মাছের অ্যাকুরিয়ামসহ সাতটি খনার বচন। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিসপ্লে রুমে রয়েছে নাম জানা-অজানা উপকরণের সমাহার। তৃতীয় ডিসপ্লে রুমকে বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বলা যেতে পারে। কারণ এতে স্থান পেয়েছে বহুদিন ধরে বাংলায় গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত উপকরণ। চতুর্থ ডিসপ্লে রুমে স্থান পেয়েছে জমি চাষাবাদের যন্ত্রপাতি এবং পূর্বে ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রাদি।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত কৃষি জাদুঘরে সংরক্ষিত উপকরণসমূহ হলো:

Advertisement

বাঁশ, বেত, কাঠ, লোহার উপকরণটুকরি, মাথাল, ঝুড়ি, কাইলং, কুরুম, মুরগি খাঁচা, গরুর ঠোয়া, দা, কাঁচি, চালুন, কুলা, কোদাল, হুক্কা, কুড়াল, শাবল, দাইড়া, লাঙল, জোয়াল, মই, ঢেঁকি, ডুলি, খাঁচা, ডালি, উড়ি, কুলা, বাওয়াস, শিকা, খৈ চালার চালুন, ঢেঁকি, বিন্দা, গাইল সেট, কড়ি, ডাবুর, মহেশখালীর কাঁচি, জাঁতা, দোন, পালকি, হ্যাজাকলাইট, হারিকেন, দাঁড়িপাল্লা, ডিমের খাঁচি, ঘানি, ধুপদানি, কুপি বাতি, গাছা, বতনা বাতি, নল বাতি, স্টোপ চুলা, গ্যাস চুলা, নকশি কাঁথা, রুমাল, শীতল পাটি, চাটাই, মোসলা, হোগলা পাটি, বেতের মোড়া, বেত, রেহেল, পিঁড়ি, শিল-পাটা, ঢাকি, বাতিসেট, শঙ্খ, হাস-মুরগির খোঁয়াড়, লোহার সিন্দুক, জল-চৌকি, চটি, কবুতরের খোঁপ, সের, ঢাকি, চামচা, লাহুর, খনচা, টিক্কা, তামাক পাতা, ভুষি, লালি, ফসল অনিষ্টকারী পোকার বাক্স, টুকরি, পাইছা, বাঁশের পাতা, তালপাতার পাখা, ছেনি, খুরপি, কাঁচি, বড়াকাঠি, পাটি কাটা দা, বেলনা-পিঁড়ি, বেতের দাঁড়িপাল্লা, টিনের দাঁড়িপাল্লা, ইঁদুর মারার কল, স্প্রিং নিক্তি, মই, ডাল-ঘুটনি, হুইচা, কলকি, ধান রাখার বের, নারিকেল কুড়ানি, আগুন তোলার হাতা, বডি দা, ছেসনি (পান ছেঁচা), আঁখ, খনার বচন, তরবারি, ছোরা, বাবুই পাখির বাসা, মচকা, বোতল, রাজবংশী বাঁশ, কাঁটা বাশ, সোনালি বাঁশ, লোহাকাঠ, গোয়ালঘর, বসতঘর, রান্নাঘর, খড়ের পুঞ্জি, মুগুর, নজর পাতিল, হ্যাপ্টা, চটি, কাঠ সিন্দুক, মলন বা মাড়াই কল, বাঁদুড় তাড়ানোর ঢোল, নৌকা, কোষা, কেনাফ পাট, দেশি পাট, খড়ম, ঢেঁকি, চুন রাখার পাত্র, পিঠা তৈরির পাত্র, মুড়ি ভাজার পাতিল, গরুর খুঁটি, গোল আলু তোলার যন্ত্র, পাটের ব্যাগ, দস্তরখানা, মাজনি, তাল চালা ছাঁকনি, লাকড়ি, পাঠখড়ি আঁটি, গোবর মুঠা, খগ বেনি, গোবর চাপড়া, খানের কুড়া, ধানের ন্যাগা, তালের আটি, বুঙ্গা, গরুর গলার ঘণ্টা, লাটিম, মার্বেল, গাছ কাটার করাত, তেল মাপার কৌটা, তেল মাপার চোঙ, খন্তি, থরি বা থরা, কাঠের বয়াম, মহিষের পায়ের জোড়, বাঁশের চোঙ্গা, জাল বোনার কাঠি বা তফিল, টর্চ লাইট, ওজন মাপার পাথর, ডুগডুগি বা বাঁদর খেলার ডুগডুগি, হুইচা।

আরও পড়ুন: শখের নার্সারিতে রুম্পার সফলতা 

আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশসয়েল টেস্টিং কিট, সবজি বীজ শোধন যন্ত্র, বাকৃবি জিয়া সার-বীজ ছিটানো যন্ত্র, ধান মাড়াই যন্ত্র, স্প্রে মেশিন, ব্যালেন্স, পাওয়ার টিলার, ইনকিউবেটর, পাওয়ার স্প্রেয়ার, ফুট পাম্প স্প্রেয়ার, ইপিস্কোপ, শাক কাটার যন্ত্র, ব্যালান্স বড় (জানসেং স্কেল), সিড ড্রিল, সিড ট্রিয়েটার, স্প্রে-মেশিন, ভুট্টা মাড়াই মেশিন, গম মাড়াই মেশিন, জাপানিজ রাইস উইডার, হ্যান্ড হু, ব্লেড হু, মোল্ড বোর্ড প্লাউ, স্পেড রেক।

বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রাংশস্লাইড রুল, কম্পিউটার টেপ মাইক্রো কম্পিউটার (কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কম্পিউটার ১৯৮০), বড় ফ্যাসিট ক্যালকুলেটর (১৩.০৫.১৯৬৪), ছোট ফ্যাসিট ক্যালকুলেটর (৩১.০৮.১৯৬৪), ক্যালকুলেটর (৩১.০৮.১৯৬৪), রেমিংটন রেন্ড, গেস্টেটনার ডুপ্লিকেটিং মেশিন, রেইন গজ, মাইক্রো কম্পিউটার, মাইক্রোস্কোপ, লেজার প্রিন্টার, ডট প্রিন্টার, ফটোকপি, লেজার প্রিন্টার টাইপ রাইটার মেশিন, প্রজেক্টর, ইলেকট্রিক টাইপ রাইটার, ওভার হেড প্রজেক্টর, পেন্ডুলাম ঘড়ি, পোর্টাবল টাইপ রাইটার মেশিন।

তামা ও পিতলের উপকরণডেক, থালা, গ্লাস, জগ, বাটি, কলসি, পানথাল, বদনা, ঘটি, পুষ্পপত্র, হুক্কা, পানের ডাবর, ডেকচি, গামলা, হাঁড়ি, কড়াই, মালসা, বালতি, ঘটি, ডাল ঘুটনি, চামচ ৩ ধরনের, বেড়ি, ধুপদানি, পরাত, কুমন্ডল, নৌকা, পান বাটা, তিশুল, আগরদানি, ফুলদানি, ফুল-সাজি, চিলমচি, এক-প্রদীপ, একুশ-প্রদীপ।

মাটির উপকরণমটকা বা গজি, ডহি ঢাকনাসহ, পাতিল ঢাকনাসহ, সানকি, ভাতের থালা, মাটির তৈরি বাঘ, পিঠার সাঁচ, জলকান্দা, মাটির ব্যাংক, পাতিল, মালসা, পুতুল, মাটির চুলা, মাটির চারি, মাটির কলসি, ঝানঝরের তলা, তরকারির পাতিল, ছিকাসহ মাটির ব্যাংক।

আরও পড়ুন: শীতকালে পোষা পাখির যত্নে করণীয় 

মাটি ও সার জাতীয় উপকরণবেলে, দো-আঁশ, এটেল, বিজয়পুরের চীনা মাটি, পিট, রাইজোবিয়াম জীবাণু সার, গুটি ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, মিশ্রসার, জিপসাম।

ফসলের বীজবিনাশাইল (ধান বীজ), ইরাটম-২৪, বিনা ধান-৪-৫-৬, সফল, অগ্রণী, বিনা সরিষা-৪-৫-৬, বিনা চিনা বাদাম-১-২-৩, বিনা খেসারি-১, বিনা মসুর-১-২-৩-৪, বিনা মাস-১, বিনা-১-২-৩-৫-৬-৭, হাইপ্রোছোলা, বিনা ছোলা-২-৩-৪-৫-৬, বাহার, বিনা টমোটো-২-৩-৪-৫-৬, এটম পাট-৩৮, বিনা দেশি পাট-২, বিনা পাট শাক-১, সরিষা বীজ (সম্বল), সরিষা বীজ (সম্পদ), সয়াবিন বীজ (ডেভিস), সয়াবিন-৪ (জি-২১২০), সয়াবিন বীজ (সোহাগ পিবি-১), আমন ধানের বীজ (বাউ ধান-২), চীনা, কাউন চাল বা ধান, তিল, তিসি, ভ্যান্নার বীজ, বাঁশ বীজ, শসা, ক্ষীরা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, মরিচ, ডাটা, চিচিঙ্গা, করলা, বাঙ্গী, রাবার বীজ, চন্দন বীজ, কেনাফ পাট, সাদা পাট বীজ, তোষা পাট বীজ, মেস্তা পাট বীজ, মুগ, মাসকলাই, মুসুর, খেসারি, ছোলা, মটর, অড়হর, পালংশাক, লালশাক, পুঁইশাক (সাদা ও লাল), পাটশাক, মুলাশাক (লাল ও সাদা), বেগুন বীজ (লম্বা), ঢেঁড়স, ভুট্টা, মেহগনি, সেগুন, একাশিয়া, ধনিয়া।

বিরল প্রজাতির ধানবাইলাম, কাইশাবিন্নি, নাজিরশাইল, কটকতারা, পাইজং, বোরো, কুমড়ি, রায়েদা, লক্ষ্মীবিলাস, হনুমানঝটা, গোবিন্দ ভোগ, জামাই ভোগ, মোগাই বালাম, হরিংগাদিয়া, পক্ষীরাজ, মালা, বেগুনবিচি, হাসিকমলি, লতিশাইল, ইরিধান, বিরই, রাধুনি পাগল বা পাংকাশ, নোনাকুচি, পাকড়ি, জিংগাশাইল, তিলকাবুর, চিনিসাগর, সোনামুখী, সূর্যমুখী, খেজুর জুপি, কলস আটি, দুলাভোগ, ঈরাবিন্নী, কাঠারি ভোগ, দাদখানি, বটেশ্বর, ফুলবাদাল, সরিষাবাড়ি, সরিষাফুল মধুশাইল, ডাঁশফুল, ঘিগজ, রাজাশাইল, মধুমালতি, যাত্রামুকুট, জলকুমারি, বেনামুড়ি, পাটঝাক, কালামানিক।

ওষুধি উদ্ভিদ ও ফল-মূলকাইজেলিয়া, বিলম্বী, আমলকি, হরতকি, বহেরা, জয়ফল, বেল শুঁটকি, অশ্বগন্ধা, নাগর মুখ, গোক্ষর কাঁটা, জৈন, অর্জুন ছাল, হালিম দানা, সোনাপাতা, দারুচিনি, চিরতা, কালিজিরা, এলাচ, লবঙ্গ, জিরা, ধারমরা, বাদর লাঠি, মনকাটার ডাল, গিলা, কানাই ডিংগা, পাইন, রতি বা কুঁচ, গোলপাতা গাছের ডাল, গোলপাতা গাছের পাতা, অরেকেরিয়া গাছের ছাল, মানুষ আকৃতির আলু, বন্য তাল, বন্য আনারস, সাদা বার্হান ফল, মাজু ফল, অন্তর্মুল, রেউচিনি, লালবাহমান, একাঙ্গী, লেটাগুটা, তালমিশ্রি, আদাশুট, লোকছাল, যষ্টিমধু, বচ, যত্রিক, কালো এলাচ, তালমাখনা, কাবাব চিনি, পেস্তাবাদাম।

আরও পড়ুন: পরিযায়ী পাখির সমাগমে মুখর ‘চাতল বিল’ 

মাছ ধরার উপকরণলুই বা ওচা, বাইর বা ছই, তেরা, খালুই, চেং, বাইর, চরকা ছিপ, উড়াজাল, কুচ, তেরা, টেপাই বা ধিয়াল, পলো, চান্দি বাইর, ডুবো ফাঁদ, উছা, ডোলা, মইয়া জাল, শাংলা জাল, নৌকা, চাকজাল, ধারকি, বছনা, চাবি, ঠেলাজাল, খারি, হয়ড়া, উইনা, দুড়ে, থারকোচ।

ফরমালিনে সংরক্ষিত মাছতেলাপিয়া, আফ্রিকান মাগুর, গনিয়া, মহাশোল, সরপুটি, রিডা, অ্যাকুরিয়াম, গজার, আইর, বোয়াল, বেলে, চিতল, ভেটকি, শিং, কৈ, শাল বাইম, তারা বাইম, চিরকা বা গোচই, কুচিয়া, গোতুম, পাবদা, গুলশা, টেংরা, গলদা চিংড়ি, বাগদা চিংড়ি, কাকিলা, কালিবাউশ, বাউরানি।

প্রাণী ও প্রাণীর কঙ্কাল জাতীয় উপকরণক্যাঙ্গারু, কুকুর, বিড়াল, প্লাটিপাস, বানর, অজগর, জাতি, ঘোড়ার মাথা, ঘোড়ার দাঁত, কচ্ছপের বুক-পিঠ, গুইসাপ, বেজি, উদ্, ব্যাঙ, বন ছাগল, শামুক, মোরগ, কাঁকড়া, হরিণের শিং, মহিষের শিং, মাটির তৈরি বাঘ, টিয়া পাখি, শকুন, হাঙর মাছের দাঁত, কালো মেঠো ইঁদুর, হরিণের চামড়া, গোখরা সাপ।

বাদ্যযন্ত্র জাতীয় উপকরণএকতারা, তরুই বাঁশের বাঁশি, দোতারা, লাউয়া, করতাল, খুনজুরি, জিপসি, তবলা, বেহালা, কাঠি ঢোল, হারমোনিয়াম।

আরও পড়ুন: ১০ হাজার অর্কিড সংগ্রহ করেছেন রানা 

অলংকার জাতীয় উপকরণকানের দুল, নোলক, হাঁসুলি, বাজু, খাড়ু বা মল, কোমরের বিছা, নূপুর ইত্যাদি।

কৃষি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘কৃষি সংশ্লিষ্ট বিশাল সংগ্রহশালা বাংলাদেশের আর কোথাও নেই। জাদুঘরটি পরিদর্শনের মাধ্যমে শহরের ইট-পাথর, কাঁচঘেরা মানুষেরা খুব সহজেই গ্রামবাংলার প্রকৃতি ও হারিয়ে যাওয়া দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। আমাদের সংগ্রহে প্রায় ৭ শতাধিক কৃষি উপকরণ রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক শতাধিক দর্শনার্থী এখানে আসেন। শুক্রবার ছাড়া বাকি সব দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে এ জাদুঘর।

এমএমআই/এসইউ/জিকেএস