কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আচমিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে সাবেক জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হানিফাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আ.লীগের একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আ.লীগের স্থানীয় নেতারা বলছেন, আবু হানিফা শিবির নয়, বিএনপি করতেন। কিছুদিন আগে আ.লীগে যোগদান করেছেন তিনি।অন্য দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের ত্যাগী নেতারা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।জানা গেছে, আচমিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়নের জন্য ৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু আচমিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হানিফাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রে নাম পাঠান। মনোনয়ন না পাওয়া মো. রফিকুল ইসলাম মাস্টার ১৯৭৫ সাল থেকে আচমিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তৃণমূলের কর্মীরা তাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানলেও তিনি মনোনয়ন পাননি। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন আ.লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাতের আঁধারে তৃণমূল সভা দেখিয়ে সাবেক শিবির কর্মী আবু হানিফকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় আবদুল মান্নানের কাছে গেলে তাকে বলা হয় আবু হানিফা ৫ লাখ টাকা আগাম দিয়েছেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর আরও মোটা অংকের টাকা দিবেন। তাই তাকেই মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আচমিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, আবু হানিফা জামায়াত নয় বিএনপি করতেন। কিছু দিন আগে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এম এ আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘ আচমিতায় আবু হানিফার মনোনয়নের সুপারিশ করার জন্য ইউনিয়নের নেতারা আমার কাছে সুপারিশের জন্য এসেছিলেন। বিষয়টি বিতর্কিত হওয়ায় জেলা কমিটি এতে সুপারিশ করেনি।’এলাকাবাসী জানায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয়ভাবে সমর্থন পাওয়া আবু হানিফা ১৯৮৮ সালে জগন্নাথ কলেজে পড়ার সময় ছাত্রশিবির করতেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে তিনি মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন। এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ তৃণমূলের ভোটে আমাকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমি কোন টাকা দেইনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, আবু হানিফ দাবি করেন, আমি জামায়াতে ইসলামী করি না, আল্লাহর দল করি। তাবলিগ জামাত করি।’এসব অভিযোগের ব্যাপারে কটিয়াদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহাব আইনুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।নূর মোহাম্মদ/এফএ/এসএস/আরআইপি
Advertisement