রাজধানীতে মানববন্ধন কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। এ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজধানীজুড়ে বড় ধরনের শোডাউন দেখাতে চায় ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ ও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার ঢাকার ১৪টি স্পটে মানববন্ধন পালন করবে ১৪ দল।এ দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঢাকার গাবতলী, রাসেল স্কয়ার, বসুন্ধরা সিটি, হোটেল সোনারগাঁ, শাহবাগ, মৎস্যভবন, পল্টন জিরো পয়েন্ট, ইত্তেফাক মোড়, হাঁটখোলা, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি পালিত হবে।গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের এক যৌথ সভায় এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই প্রতিদিন ১৪ দলের নেতারা প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে মিলিত হন। দলের অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।রাজধানীর সব কয়টি থানা এবং ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দকে এ ব্যাপারে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সাংসদদের নেতৃত্বে ১৪টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেবে নেতাকর্মীরা।আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ মানববন্ধন প্রসঙ্গে বলেন, সময় এসেছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের প্রতিহত করার। মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধ প্রসঙ্গ নিয়ে পাকিস্তান যে মিথ্যাচার করছে, তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া এবং বিএনপির অন্যান্য নেতারাও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে আসছেন। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করা যাবে না, এটি জানান দিতেই আজকের মানববন্ধনের আয়োজন।ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে রক্ষা করতে বিএনপি আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এতে তারা রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উচিত জবাব দেয়ারও সময় এসেছে বলে মনে করি। এএসএস/এমজেড/এবিএস
Advertisement