সাহিত্য

জান্নাতুল নাঈমের তিনটি কবিতা

 

মুগ্ধতা

Advertisement

একদিন আমাদের দেখা হবেপ্রকৃতি হাসুক কিংবা কাঁদুকআমাদের দুজনের জীবনে সুখের কান্না নামবেএক নির্ভরতায় দুজন দুজনার মুঠো চেপে রবোদুজনার বিমুগ্ধতায় চোখে চেয়ে রবোসারা দিনমান যাবেতবু মুগ্ধতা থামবে না।

একদিন আমাদের দেখা হবেপ্রকৃতি সাজুক কিংবা না সাজুকতোমার জন্য আমি খুব করে সাজবোখোঁপাজুড়ে কয়েক জোড়া গোলাপ ফুল দেবোহরেক রঙের চুড়িতে হাত দুটি সাজাবোসারাবেলা কেটে যাবেতবু স্বিগ্ধতা থামবে না।

সুহৃদ, সেই দিনটি কবে?দেখো অপেক্ষার তীর ঘেঁষে বৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।

Advertisement

****

ভালোবাসার দাবিদার

আমি মুগ্ধ হয়ে তোমার মুখপানেই তাকিয়ে থাকিতোমার মুখপানে তাকিয়ে আমি সব দুঃখ ভুলে যাইতুমি প্রতিনিয়ত কথার মুগ্ধতায় আমার মন কেড়েছোআমি চেয়ে দেখি আমার হৃদয়খানা তোমার হয়ে গেছেএই হৃদয় পটে তুমি ছাড়া কোনো কিছুই নেই।

আমি মুগ্ধ তোমার কথামালা পড়ে নিইতোমার কথারা আমার সমস্ত নিঃসঙ্গতা কেড়ে নিয়েছেতুমি প্রতিনিয়ত কথার ঝুড়ি দিয়ে আমায় হৃদয় কেড়ে নিচ্ছোআমি চেয়ে দেখি মনটা ভালোবাসার শ্রোতা হয়ে গেছেএখন কেবলই মনে হয় তুমি আমার উপসংহারের ভালোবাসা।

Advertisement

আমি মুগ্ধ হয়ে তোমার প্রবল ভালোবাসা দেখিএতটা আকাশ সমান মন দেখে আনন্দে অশ্রু বেয়ে পড়েতুমি প্রতিনিয়ত আমায় উড়তে শেখাওআমি চেয়ে দেখি আমার সব ভালোবাসা তুমি নিয়ে গেছোতোমার চোখে চেয়ে বুঝি তুমিই আমার সব ভালোবাসার দাবিদার।

****

এক দুষ্টু মেয়ের চিঠি

বাবা, কেমন আছেন?আমাদের বাড়ির দক্ষিণের পুকুরেএখনো কি মাছ নাচানাচি করেনাকি পুকুরটাকে মাটি ভরিয়ে বসতবাড়ি করেযাচ্ছেন আমাদের মধ্যদুপুরের স্মৃতি ক্ষয়ে?

আচ্ছা বাবা,আমার লাগানো পেয়ারা, বাতাবি গাছেএখনো কি ফল ধরে,নাকি কোনো ঝড়ে গাছপালা ভেঙে গেছে?আমার লাগানো জবা, বেলি, গোলাপ গাছে ফুল কি ধরে?জানি খুব ভোরে উঠে কেউ আরথাকে না গাছের ধার ধার।আর কিছুদিন তারপর আসবোদেখবে ঘরধোর আবার করবো অগোছালো,জিনিসপত্র ফেলে সব করবো এলোমেলোমাকে বড্ড জ্বালাতন করবোতোমায় আবার লাল চা বানিয়ে দেবো।

আবার বাড়ি এসে ভোরসকালে ঘুম থেকে উঠবোখুব ভোরে উঠে ফুল কুড়াবো,ফুল বেণীতে গেঁথে তোমার কথামালা হবোএখন আমি সবই পারি,কিন্তু আমার সন্ন্যাসী গিরিপথ পাই নাসময় পেলেই আসবো,খিলখিলিয়ে হাসবো।

কবি: স্নাতকোত্তর (শেষ পর্ব), সমাজকর্ম বিভাগ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর।

এসইউ/এমএস