ফিচার

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ও মাদার তেরেসার প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, সোমবার। ২১ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১৬১২- চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নৌবাহিনী গঠন।১৬৬৬- লন্ডনের অগ্নিকান্ডের সমাপ্তি। তিনদিন ধরে চলা এই অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজার বাড়ি পুড়ে যায়। এতে ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে।১৭৬২- ব্রিটিশ বাহিনী বাজমহলের কাছাকাছি উদয়নালায় মীর কাসিমকে পরাজিত করে।১৯১০- ১৫৭টি গান ও কবিতার সংকলন গীতাঞ্জলি প্রথম বাংলায় প্রকাশিত হয়।১৯৭২- মিউনিখ গণহত্যা; ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর নামক একটি প্যালেস্টাইন স্বাধীনতাকামী দল মিউনিখ অলিম্পিক গেমসে ১১ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে।

জন্ম১৯২১- খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট রেবতীভূষণ ঘোষ।১৯২৯- খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক মোহিনী চৌধুরী।১৯৫১- মার্কিন অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক মাইকেল কিটন।১৯৫২- ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার ও অভিনেতা বিধু বিনোদ চোপড়া।১৯৭০- বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক।১৯৯১- বাংলাদেশি সংগীত শিল্পী ইমরান মাহমুদুল হক।

Advertisement

মৃত্যু১৯৭১- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম তার। সপ্তম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি। কৈশোরে তিনি নাটক থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৫৯-এর ১৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস বা ইপিআর-এ যোগ দেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা ও অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম।১৯৭৪- লোক সংগীতের কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম।১৯৯৫- ভারতীয় সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও গল্পকার সলিল চৌধুরী।১৯৯৭- শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মাদার তেরেসা। ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অব লোরেটো সংস্থায়। ১৯২৯ সালে ভারতে এসে দার্জিলিঙে নবদীক্ষিত হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৩১ সালের ২৪ মে তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে দরিদ্রের মাঝে ধর্মপ্রচার কাজ শুরু করেন। প্রথাগত লোরেটো অভ্যাস ত্যাগ করেন। পোশাক হিসেবে পরিধান করেন নীল পারের একটি সাধারণ সাদা সুতির বস্ত্র। ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাকে ‘সন্ত’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং ক্যাথলিক গির্জায় তিনি ‘কলকাতার সন্ত টেরিজা’ হিসেবে আখ্যায়িত হন। ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন লাভ করেন। মৃত্যুর সময় বিশ্বের ১২৩টি রাষ্ট্রে মৃত্যুপথ যাত্রী এইডস, কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র, ভোজনশালা, শিশু ও পরিবার পরামর্শ কেন্দ্র, অনাথ আশ্রম ও বিদ্যালয়সহ দ্য মিশনারিজ অব চ্যারিটির ৬১০টি কেন্দ্র ছিল।২০০৯- বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ সাইফুর রহমান।

দিবসশিক্ষক দিবস (ভারত)আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস ৷

কেএসকে/জিকেএস

Advertisement