মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।
Advertisement
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার। ১৯ ভাদ্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
ঘটনা১৮৫৯- মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম নাটক ‘শর্মিষ্ঠা’ প্রথম মঞ্চস্থ হয়।১৯৪৪- হলোকাস্ট: আনা ফ্র্যাঙ্ক এবং তার পরিবার ওয়েস্টারবার্কের ট্রানজিট শিবির থেকে আউশভিটস কনসেন্ট্রেশনে ক্যাম্পে পৌঁছান।১৯৫০- ‘নিনো’ ফারিনা ১৯৫০ ইতালীয় গ্র্যান্ড প্রিক্স জয়ের পর প্রথম ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার চ্যাম্পিয়ন হন।১৯৭১- কাতার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠে।১৯৭৬- ভাইকিং প্রোগ্রাম: আমেরিকান ভাইকিং ২ মহাকাশযান ইউটোপিয়া প্লানিতিয়ায় অবতরণ করে।২০০৪- বেসলা স্কুল অবরোধের ফলে ১৮৬ শিশুসহ ৩৩০ জনেরও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে।২০১৭- উত্তর কোরিয়া তার ষষ্ঠ এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক পরীক্ষা পরিচালনা করে।
জন্ম১৮৬৪- ভারতীয় বাঙালি দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল।১৮৯৮- রাজনীতিক, সাংবাদিক ও লেখক আবুল মনসুর আহমদ।১৮৯৯- অস্ট্রেলীয় জীববিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকফারলেন বার্নেট।১৯২৬- অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা মহানায়ক উত্তম কুমার। তার জন্ম কলকাতায়। আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি একজন ভারতীয়-বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক এবং পরিচালক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাকে ‘মহানায়ক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘দৃষ্টিদান’। এরপর ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ মুক্তি পাওয়ার পর তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। সব মিলিয়ে মোট ২০২টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ওগো বধূ সুন্দরী চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সময় তিনি স্ট্রোক করেন এবং পরদিন মারা যান।১৯৭১- ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাহিত্যিক, ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ী কিরণ দেশাই।
Advertisement
মৃত্যু১৯৯৮- ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা অনুপ কুমার।২০০৭- ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী অশেষ প্রসাদ মিত্র।২০০৮- বাংলাদেশি কবি, সাহিত্যিক ও ভাষাবিজ্ঞানী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। ১৯৩৬ সালের ১৫ আগস্ট যশোর জেলার খড়কী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আরেক ভাই প্রখ্যাত গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। যশোর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি, রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করেন। তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রথম ফেলো হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে আছে- দুর্লভ দিন, শঙ্কিত আলোকে, বিপন্ন বিষাদ, প্রতনু প্রত্যাশা ইত্যাদি। আধুনিক বাংলা সাহিত্য, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মধুসূধন, নজরুল চেতনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তার জনপ্রিয় গান- আমারও দেশেরও মাটিরও গন্ধে, ভরে আছে সারা মন, প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে, ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেছে প্রাণ, হলুদ বাটো মেন্দি বাটো, অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান ইত্যাদি। ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান তিনি।২০১৮- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী।
দিবসআন্তর্জাতিক নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ দিবস
কেএসকে/এমএস
Advertisement