বর্তমানে সবার হাতেই আছে স্মার্টফোন। একটি নয়, অনেকের আবার একাধিক স্মার্টফোন নিত্যসঙ্গী। তবে সারাক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকা কিংবা গেম খেলার জন্য যে কোনো সময় ফুরিয়ে যেতে পারে ফোনের চার্জ। জরুরি কাজের সময় ফোনে চার্জ না থাকলে নানা ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
Advertisement
তবে এই সমস্যার সমাধানে সঙ্গে রাখতে পারেন পাওয়ার ব্যাংক। একাধিক ডিভাইস চার্জ দেওয়া যায় একসঙ্গে। বড়সড় ঝামেলার হাত থেকে রক্ষা করতে ছোট্ট এই ডিভাইসটি খুবই কার্যকরী। তবে পাওয়ার ব্যাঙ কেনার সময় অবশ্যই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখুন। এতে আপনি খুব ভালো একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারবেন। যা আপনাকে অনেকদিন পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে সার্ভিস দেবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে কোন বিষয়গুলো জানা জরুরি-
>> পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিন চার্জিং পোর্ট কয়টি। এটি খুবই জরুরি। কারণ পাওয়ার ব্যাংকে যতগুলো চার্জং পোর্ট থাকবে ততগুলো ডিভাইস চার্জে দিতে পারবেন। স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট, ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ডিভাইস কই সঙ্গে চার্জ দিতে পারবেন।
Advertisement
>> ব্যাটারি ক্যাপাসিটি দেখে নিন। আপনার স্মার্টফোনের থেকে অন্তত ডাবল ব্যাটারি থাকতে হবে পাওয়ার ব্যাংকে। পাশাপাশি আপনার স্মার্টফোনের মতোই যেন পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি যেন মিলিঅ্যাম্প আওয়ারস তালিকাভুক্ত থাকে। তাহলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো সার্ভিস পাবেন।
>> একটা ভালো মানের চার্জার শুধু যে আপনার ডিভাইসটি দ্রুত চার্জ করতে পারে এমনটা নয়, আপনার ডিভাইসকে পাওয়া সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে এবং ওভারহিটিং থেকেও সুরক্ষিত রাখতে পারে। তাই পাওয়ার ব্যাংকের চার্জিং কেবেলটি যেন ভাল মানের হয় সেটি খেয়াল রাখুন।
>> সস্তায় যে কোনো একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনে নিলেই হলো। এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। ভালো মানের এবং চেষ্টা করুন একটি ভালো ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে। না হলে চার্জ করার পরিবর্তে আপনার ফোন খারাপ হয়ে যেতে পারে।
>> ডিভাইসের চার্জিং স্টেটাস অর্থাৎ কতটা চার্জ হল আপনার ডিভাইস, তা বোঝাতে আজকাল অনেক পাওয়ার ব্যাংকেই থাকছে এলইডি ইন্ডিকেটর্স। স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার এলইডি ইন্ডিকেটর্স আছে চাইলে এমন একটি পাওয়ার ব্যাংক কিনতে পারেন।
Advertisement
>> পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় অবশ্যই সেটি চেক করে নিন, যে সেটির আউটপুট ভোল্টেজ আপনার ডিভাইস ম্যাচ করে। ডিভাইসের থেকে যদি পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ কম হয়, তাহলে সেটি কাজ করবে না।
>> এছাড়াও নিশ্চিত করুন, চার্জারের অ্যাম্পিয়ার কাউন্ট এবং যে ডিভাইস চার্জ করা হবে, তা যেন ম্যাচ করে। অ্যাম্পিয়ার কাউন্টই হলো সেই কারেন্ট, যা চার্জার থেকে যে প্রডাক্ট চার্জ হবে, যা সাপ্লাই করা হয়। চার্জারের অ্যাম্পিয়ার কাউন্ট যদি কোনোভাবে বেশি হয়, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কম হয়, তাহলে হয় ডিভাইস চার্জ করবে না বা খুবই ধীরে ডিভাইস চার্জ করবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকে/এএসএম