সাহিত্য

আব্দুল্লাহ জুবায়েরের দুটি কবিতা

কাব্যকথা

Advertisement

প্রথম দেখায় হৃদয় ক্যানভাসে অঙ্কিত তোমার ছবি,নিস্তব্ধ পলকহীন দৃষ্টি দেখে পদ্মর মতো ঠোঁটের হাসি।প্রকৃতির বুকে বসন্তের হাওয়া, আগের চেয়ে বেশিই ছুঁয়েছে;উষ্ণতায় ভরে গেল আমার শরীর, সামুদ্রিক চিলের মতোই ভয়ানক হয়ে উঠলাম প্রেম-নেশায়।কোকিলেরা আমার প্রেমের আগমনী গানই গাইছে ফাল্গুনী প্রভাতে,কৃষ্ণচূড়ার উজ্জ্বল রং রাঙিয়ে দিচ্ছে ভাবনার আবাস।আমার আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা আর ইচ্ছের শহরে ধ্বনিত হলো ‘কথা’এ কথা সে কথা নয়, এ যে কাব্যের কথা,আমি কাব্যপ্রেমিক আর তুমি প্রেমিকা কথা।

****

নীল নয়না

Advertisement

পড়ন্ত বিকেলে যখন তুমি আমায় নতুন দিগন্ত দেখাচ্ছিলে;আমি তখন বিস্মিত চিত্তে তোমার নব সমাদর বোঝার চেষ্টা করি।স্বমহিমায় আপন সত্তাকে বিশ্বাস করাতে বড্ড কষ্ট হচ্ছিল।

ভাবের জগতে প্রমোদ তরীতে তোমায় নিয়ে আবার কী করে ভাসবো আটলান্টিকের মতো মহাসমুদ্রে?অতি ক্ষুদ্র জীবনের এত রং এত ডং,নাট্যমঞ্চে তোমার ছদ্মবেশী হয়ে ওঠা, সত্যি ভাবিয়ে তোলে।

আমাকে ভাবিয়ে তোলে সুবিশাল নক্ষত্রের দলআমাকে ভাবিয়ে তোলে, পরিবারের সুখ কিনে আনতে সীমাহীন সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার লুকোচুরি খেলা।

তুমি মস্ত বড় অভিনয়শিল্পী, তুমি নীল নয়না ছলনাময়ী তোমার হরিণী চোখ, টিকোলো নাক, কালো কেশ বড্ড সর্বনাশী।

Advertisement

হৃদয় গহ্বরে ফের কম্পনের সূচনা, তবে তা অতীতের মতো নয়ভাঙা কাচের দেওয়ালের মতো স্মৃতিগুলো আছড়ে পড়ছে বুকের বা’পাশে,সেই ধ্বনি দিচ্ছে অসহ্য যন্ত্রণা, দূরেই ঠেলে দিচ্ছে তোমার কাছ থেকে।

তুমি আবেদনময়ী, হাজারো যুবকের মাঝে সঞ্চার হয় অজস্র স্বপ্নতুমি ক্লিওপেট্রা, নিজের রূপে রাজাকেও করতে পারো দিশেহারা।

রূপের অহমিকায় কিনেছ ক্ষণস্থায়ী সুখ, হারিয়েছো প্রণয়ের নিলয়।

এসইউ/এএসএম