আমরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাগ্যহত ১৫ হাজার ১৯ জন পুল শিক্ষক। আমরা ২০১১ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বমোট ২৭ হাজার ৭২০ জন প্রার্থী সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হই। সেখান থেকে ১২ হাজার ৭০১ জনকে স্থায়ী নিয়োগ প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে পুল শিক্ষক হিসেবে রাখে। দীর্ঘদিন আমলাতান্ত্রিক জটিলতার পর অবশেষে ২০১৪ সালে এক অদ্ভুত নীতিমালা জারি করে। যোগদান করার সময় দেখা যায়, কারও চাকরির মেয়াদ ১ মাস, ২ মাস, ৩ মাস। সেখানে উল্লেখ ছিল ৬ মাস। নিযুক্তিকৃত বিদ্যালয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে। তাই প্রতিদিন যাতায়াত করতে ৮০-১০০ টাকা ব্যয় হয়। মাস শেষে বেতনের কথা অফিসে বলতে গেলে, বলে বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ এলে পাবেন। এভাবে দেখা যায়, বেতনবিহীনভাবে স্কুলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাঠদান করতে হয়। তাহলে এভাবে কি জীবন চলে? আবার যখন চাকরির মেয়াদ শেষ হয়, তখন দীর্ঘদিন অবসরে বসে থাকতে হয়। নীতিমালায় বলা ছিল, এক ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকরি করতে পারবে না। অথচ ৬ মাসের চাকরির মেয়াদে ৩-৪ বার অবসরে যেতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমাদের স্থায়ী নিয়োগদানের নির্দেশ দিন। লেখক: পুল শিক্ষক, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।এসইউ/পিআর
Advertisement