ধানের সম্ভাব্য বৃদ্ধির পর্যায়, কাইচ থোড় অবস্থায় চাষিদের কী করতে হবে সে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
Advertisement
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ সময়ে কোনো সারের প্রয়োজন নেই। শামা ও ফুল্কা ঘাসে এসময় ফুল বের হয়। তাই শামা ও ফুল্কা ঘাস থাকলে পরিষ্কার করতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপনা: গাছ বৃদ্ধির এ পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে ভেজা ও শুকানো পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া যাবে না। ফুল ফোটার আগ পর্যন্ত এসময় জমিতে ৫ সেন্টিমিটার দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। পানির ঘাটতি হলে ধানের ফলন কমে যেতে পারে।
কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা: কাইচ থোড় পর্যায়ে ধানে মাজরা, বাদামি গাছফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, পামরী ও ইঁদুরের আক্রমণ হতে পারে। জমিতে আলোক ফাঁদ (পামরী ব্যতীত) ব্যবহার করা, নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করা, ডালপালা পুঁতে দেওয়া, হাত জাল দিয়ে পোকা ধরা, ডিম ও কীড়া ধ্বংস করা অব্যাহত রাখতে হবে।
Advertisement
সর্বোচ্চ কুশি থেকে কাইচ থোড় পর্যায়ে মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক কার্টাপ প্লাস, ভিরতাকো, ডায়াজিনন, কার্বোফুরান, মেলাথিয়ন, ডার্সবার্ন ইত্যাদি পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্রি বলছে, পামরী পোকার আক্রমণে শতকরা ৩৫ ভাগ পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে মার্শাল ২০ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ (দেড়) মিলিলিটার কীটনাশক মিশিয়ে জমিতে প্রয়োগ করুন। এ সময়ে জমির শতকরা ৫০ ভাগ গোছায় ২-৪ টি ডিম ওয়ালা স্ত্রী বাদামি গাছফড়িং বা ১০-১৫টা বাচ্চা পোকা বা উভয়ই দেখা গেলে এবামেক্টিন, সফসিন, মিপসিন ইত্যাদি কীটনাশক পরিমিত মাত্রায় স্প্রে মেশিনের সাহায্যে গাছের গোড়ায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ, বিষটোপ ও বিভিন্ন ধরনের জৈবিক পদ্ধতির সহযোগিতায় ইঁদুর দমন করা যেতে পারে।
রোগবালাই ব্যবস্থাপনা: ধান গাছের এ পর্যায়ে আবহাওয়ার বর্তমান এ অবস্থায় পাতাব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগ দেখা দেওয়ার পর ট্রুপার আট গ্রাম ওষুধ ১০ লিটার পানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে পাঁচ শতাংশ জমিতে সাতদিন ব্যবধানে পড়ন্ত বিকেলে দুইবার স্প্রে করতে হবে।
Advertisement
এনএইচ/একেআর/এমএস