জাতীয়

সারাদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সোমবার ভোর ৫টা ৫ মিনিটের দিকে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৮। উৎপত্তি স্থল ছিল ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ভারতের মনিপুর রাজ্য। যা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ৩৩১ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে।ভূমিকম্পটি ৫৭ কিলোমিটার গভীর এবং প্রাথমিক খবরে এটি মিয়ানমারে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, অাসাম-অরুণাচল প্রদেশেও ব্যাপকভাবে অনুভূত হয়েছে কম্পন। আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে মানুষ।ফায়ার সা‍র্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার ভজন কুমার সরকার জানান, ভোর ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত রাজধানীর কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কোনো ভবন হেলে পড়ার খবরও পাওয়া যায়নি।রাজধানীর বাড্ডার হোসেন মার্কেটে কর্তব্যরত প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কর্মচারী শ্রী মোহন চন্দ্র রায় জানান, যখন ভূমিকম্প যখন আঘাত হানলো তখন আমার খুব ভয়াবহ অবস্থা। কী করবো বুঝতে পারিনি। ১২তলা ভবনের নয়তলায় আমরা ছিলাম। ভবনটি এদিক-সেদিক কাঁপছিল। এ সময় নিচে নামবো নাকি উপরেই থাকবো এ নিয়ে দোতানায় ছিলাম।আমাদের কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, নগরীর মসজিদে তখনই ফজরের আজান হয়নি। হঠাৎ চারদিকে মানুষের আর্ত-চিৎকার। বাসা-বাড়ি থেকে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। সোমবার ভোর প্রায় ৫টা ৫ মিনিটে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাও শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। কয়েক সেকেন্ডে স্থায়ী ওই কম্পনের ফলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে নগরীর বহুতল ভবনের বাসিন্দারা ভয়ে ভবন থেকে নিচে রাস্তায় নেমে আসেন। এদিকে ভূমি কম্পনের ফলে এখনো কুমিল্লার কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সারাদেশের সঙ্গে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ভোর ৫টা ৫ মিনিটের দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে ভূমিকম্পের সময় অনেকেই দ্রুত ঘুম থেকে উঠে উঁচু ভবনগুলো থেকে রাস্তায় নেমে আসেন।এএ/এআর/বিএ

Advertisement