সরকার এরই মধ্যে চাকরির বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করে প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৫ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করা হয়েছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৫ বছর বৃদ্ধি করা হলেও অবসর গ্রহণের বয়স ৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়নি। ভারত ও পাকিস্তানে চাকরির বয়স ৬০ বছর। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর। এক্ষেত্রে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। ভারত ও পাকিস্তানের গড় আয়ু বাংলাদেশের চেয়ে কম। আবার বাংলাদেশের কোনো কোনো চাকরিতে বয়সসীমা ৬০ বছরেরও বেশি। এসব বিষয় বিবেচনা করে চাকরির বয়সসীমা ৫৯ থেকে ৬০ বছরে উন্নীতকরণের বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছরে উন্নীত করার আবেদন করছি। অন্তত অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) কালীন প্রাপ্ত স্বাভাবিক বেতন-ভাতাদি ও সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে কেউ নিয়মিত চাকরিতে থাকতে চাইলে তাকে সে সুযোগ দেয়া যায়। এর ফলে একদিকে সরকারি ব্যয় সাশ্রয় হবে অন্যদিকে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মচারীর সেবা গ্রহণ করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। লেখক: প্রভাষক, মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ।• চাকরি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে আপনার মতামত ও পরামর্শ লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠাবেন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। –বিভাগীয় সম্পাদকএসইউ/এমএস
Advertisement